আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
বিটিএস ( দক্ষিণ কোরিয়া) সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে চায়
আমার পরিচিত একজন বিটিএস এর ফ্যান, বিটিএস এর ভিডিও দেখে সারাদিন, তাকে আমি কি বলে এ থেকে বাঁচাত পারি প্লিজ বলবেন ইসলামের দৃষ্টিতে

আমি তাকে কি বলে দাওয়াত দিতে পারি যেনো তিনি এসব থেকে দুরে থাকে।

অমুসলিম দের কে কি আদাপ দেওয়া যাবে

1 Answer

0 votes
by (565,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


BTS (বিটিএস) হলো দক্ষিণ কোরিয়ান (South Korean) একটি ব্রান্ড (brand) দল।

BTS এর পুরো নাম হলো Bangtan Boys (ব্যাংটন বয়েজ) অথবা Bangtan Sonyandan (ব্যাংটন সোনিয়ান্দন)

বিটিএস এর সদস্য সংখ্যা ৭ জন।
সহজ ভাবে বলতে গেলে, বিটিএস হলো সাত সদস্যের একটি দক্ষিণ কোরিয়ান একটি প্রখ্যাত বয় ব্রান্ড।

উইকিপিডিয়া থেকে পাওয়া তথ্য মতে,বিটিএস (কোরীয়, উচ্চারণ: বাংতান সোনিয়োন্দান) (যারা বাংতান বয়েজ নামেও পরিচিত) হলো ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড। এ ৭ সদস্যের ব্যান্ড বিগহিট মিউজিক এর অধীনে ২০১০ সালে ট্রেইনি হিসেবে এবং ২০১৩ সালে টু কুল ফর স্কুল (2 Cool 4 Skool) অ্যালবাম নিয়ে পুরো বিশ্বের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত হিপ হপ সঙ্গীতের গ্রুপ হলেও তাদের গানগুলোতে বিভিন্ন সঙ্গীতের ধরন প্রকাশ পায়। গানের মাধ্যমে তারা সাহিত্য, মনস্তাত্বিক বিষয় এবং নিজেকে ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিটিএস হলো হলো ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড। 
যারা গান গায়।

যেহেতু গান গাওয়া ও তাহা শোনা হারাম,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যান্ডের ফ্যান হওয়া,তাদের ভিডিও দেখা কোনোটাই জায়েজ নেই।

ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে হারাম,কবীরাহ গুনাহ।      
এটি কোনোভাবেই তওবা না করলে মাফ হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
مَنِ اسْتَمَعَ اِلٰی قَیْنَةٍ صُبَّ فِیْ اُذُنَیْهِ الْاٰنُكُ یَوْمَ الْقِیَامَةِ ‘ (مسند احمد:۳۳۸۳،صحیح البخاری،رقم:۷۰۴۲،سنن أبی داؤد،رقم:۵۰۲۴)

যে ব্যাক্তি গায়িকা মহিলার আওয়াজ শুনবে,
কিয়ামতের দিন তার কানে শিশা গলিয়ে ঢেলে দেয়া হবে।
,
اَلْغِنَائُ یَنْبِتُ الْنِّفَاقَ فِی الْقَلْبِ کَمَا یُنْبِتُ الْمَاءُ الْبَقْلَ۔‘ (السنن الکبری للبیهقی،رقم:۲۱۰۰۸، سنن ابی داؤد،بَابُ کَرَاهِیَةِ الْغِنَاء ِ وَالزَّمْرِ،رقم:۴۹۲۷)

রাসুল সাঃ বলেন  গান বাজনা কলবে নিফাক সৃষ্টি করে,যেমনভাবে পানি শষ্য উৎপাদন করে।

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ﷺ نَهَى عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَالْكُوبَةِ وَالْغُبَيْرَاءِ وَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ

রাসূলুল্লাহ ﷺ শরাব পান করতে, জুয়া খেলতে, ঢোল বা তবলা বাজাতে এবং ঘরের তৈরী শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম। (আবু দাউদ ৩৬৪৪)

আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِذَا اتُّخِذَ الْفَئُْ دُوَلاً، وَالأَمَانَةُ مَغْنَماً، والزَّكَاةُ مَغْرَماً، وَتُعُلَّمَ الْعِلْمُ لِغَيْر الدِّين، وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ، وَعَقَّ أُمَّهُ، وأَدْنَى صَدِيقَهُ، وأُقْصَى أبَاهُ، وظَهَرَتِ الأصْوَاتُ فى المسَاجدِ، وسَادَ الْقَبيلَةَ فَاسِقُهُمْ، وَكانَ زَعِيمَ الْقَوْمِ أَرْذَلُهُمْ، وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مخَافَةَ شَرِّهِ، وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالمَعَازِفُ، وشُرِبَتِ الْخَمْرُ، وَلَعَنَ آخِرُ هذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلهَا، فَلْيَرْ تَقِبُوا عِنْدَ ذلِكَ رِيحاً حَمْرَاءَ، وَزَلْزَلَةً وَخَسْفاً، وَمَسْخاً، وَقَذفاً، وآيَاتٍ تتابع كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ

গনীমত সম্পদ যখন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে গণ্য করা হবে, যাকাত হবে জরিমানা বলে, দ্বীনী উদ্দেশ্য ছাড়া ইলম অর্জন করা হবে, পুরুষরা স্ত্রীদের আনুগত্য করবে, এবং মা‘দের অবাধ্য হবে, বন্ধুদের নিকট করবে আর পিতাকে করবে দূর, মসজিদে শোরগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হয়ে বসবে, নিকৃষ্ট লোকেরা সমাজের নেতা হবে, অনিষ্টের আশংকায় একজনকে সম্মান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান দেখা দিবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি, পাথর বর্ষণের আযাবের এবং আরো আলামতের যা পরপর নিপতিত হতে থাকবে, যেমন একটি পুরান হারের সূতা ছিড়ে গেলে একটার পর একটা দানা পড়তে থাকে। (তিরমিযী ২২১৪)

আরো জানুনঃ 

★কুশল বিনিময় হিসেবে অমুসলিমদেরকে আদাব বলা যাবে।
তবে এথেকে বেঁচে থাকাই কাম্য।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...