আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১.আমি একটা সমস্যাই আছি হুজুর। শশুর কে পানি দেওয়ার সময়  হাতে ছোয়া  লাগে।তার হাত থেকে বাজার নেওয়ার সময় হাতে ছোয়া লাগে।বাবুরে কুলে দিতে বললে তখন হাতে ছোয়া  লাগে। এগুলার সম্মুখীন হওয়ার আগে আমি অনেক টেনশনে থাকি যে ছুয়া লাগব  নাকি।হুরমত যাতে না হই।মনে খারাপ চিন্তা জাতে না আসে।কিন্তু যখন কোন উপায় না থাকে তখন ছুয়া লেগেই জাই।কিন্তু কয়েক সেকেন্ড  এর বেপার আমি যত তারাতারি পারি হাত সরিয়ে নেই।কিন্তু ছুয়া লাগলে ভিত্রে মাজে মাজে চিরিক দিয়া উঠে বা কাইপা উঠে । চিন্তা করি যে খারাপ চিন্তা আসছিল নাকি।সব নিয়া সন্দেহে পরে যাই। আমার মাথাই সব সময়  হুরমত হওয়া নিয়ে চিন্তা ঘুরতে থাকে।আমি অনেক বিরম্বনায় আছি এগুলা নিয়ে।আমার শশুর শাশুড়ীর সাথে এখন থাকতে ইচ্ছা হই না এত চিন্তা  নিয়ে।যখন ছুয়া লাগে তার আগে আমার কোন  খারাপ উদ্দেশ্য থাকে না।কিন্তু ছুয়া লাগার পর মনে চিন্তা লাগে যে খারাপ চিন্তা আসছিল নাকি কেন ভিতরে এমন লাগলো। এখন যেহেতু এসব মাথায় হুঠহাট আইসা  পরে এখন খারাপ চিন্তা আসতে পারে।কিন্তু আমি অনেক ভয়ে থাকি জাতে হুরমত না হই।আমি এসব নিয়া ওয়াস ওয়াসায় ভুগি।ওয়াস ওয়াসার রোগি দারা যেমন তালাক হই না।তেমনি ওয়াস ওয়াসার রোগি দারা কি হুরমত হই।তারমনে উল্টা পাল্টা চিন্তা দারা।

২.শশুর কে বলসি পাঞ্জাবি তে জামাইয়ের মত লাগতেছে। এতে কি হাসবেন্ড হারাম হবে।বলার পর অনেক চিন্তা লাগতেছে।এভাবে বলাই কি যিহার হই।

ক।হাসবেন্ড যদি সহবাসের সময় বউরে  মামুনি বলে বা মা বইলা ফালায় তাইলে কি সেটা যিহার হবে।হারাম হবার উদ্দেশ্যএ না বললে। আর মেয়েরা বললে ত যিহার হই না।

৩।মামি কে বলসি আমি যখন কাবিন নামাই সাক্ষর দিলাম তখন মনে হইছিল সবাইরে ছাইরা দিলাম।এটা বলার পর চিন্তা হচ্ছে যে একথা বলাই কি কোন সমস্যা হবে নাকি।আমি বাবা মার কথা চিন্তা কইরা বলছিলাম।কিন্তু আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি তা সন্দেহ হই কাকে উদ্দেশ্য করে বললাম।এরকম ভাবে বারিতে জাব গা বল্লেও মনে তালাকের কথা চইলা আসে।সাভাবিক ভাবে বারিতে জাওয়া বুজাই।।আমি কোন কথাই বলতে পারি না।এগুলা দারা কি কোন সমস্যা হবে নাকি।বলছি গেদার নানির  বাড়ি থাকন লাগব।তাও তালাকের চিন্তা আইসা পরে মাথাই।এগুুুলা বলার সময় এসব চিন্তা আসলে কি তালাক হবে???
৪।ওয়াস ওয়াসার রোগ ভালো  হইয়া গেছে তা বুজব কিভাবে??

৫।সপ্নে তালাক বিষয় দেখলে আর দিনের ঘুম যেহেতু এত গভির হই না।এই মনে হই জাগানা এই মনে হইঘুমে।এই অবস্থায় সপ্নে দেখলে র সে অবস্থাই মুখে বির বির কইরা বললে কি তালাক পতিত হবে।আমি এসব নিয়া ৮ মাস জাবত চিন্তাকরি তাই হইত সপ্নেও এগুলা দেখি।

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 

অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

২–

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

৩-
স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। 
আগে বা পরে উত্তেজিত হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা। 
আপনি এই অহেতুক সন্দেহ পরিহার করবেন।
এক্ষেত্রে সন্দেহ থেকে বাঁচতে এসব ক্ষেত্রে হাতে কাপড় পেচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন,যাতে সরাসরি শশুরের হাতের সাথে স্পর্শ না লাগে।

(০২)
এক্ষেত্রে স্বামী হারাম হয়ে যাবেনা।
এভাবে যিহার হয়না।

আর স্ত্রীর কোনো কথাতেই যিহার হয়না,তাই আপনি অহেতুক চিন্তিত হবেননা।

ক,
প্রশ্নের বিবরণ মতে যিহার হবেনা।

(০৩)
এগুলো বলার সময় এসব চিন্তা আসলে তালাক হবেনা।

(০৪)
সেক্ষেত্রে আপনার মাথার মধ্যে সর্বদা আর সেই নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে অহেতুক সন্দেহ  ও টেনশন হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে কোনো তালাক পতিত হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...