জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২.৩)
শরীয়তের বিধান হলো হস্তমৈথুন করতে গিয়ে,বা উত্তেজক ভিডিও বা গল্প পড়তে গিয়ে বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হবে।
মযি বা ওদি বের হলে গোসল ফরজ হবেনা।
সেক্ষেত্রে শুধু অযু ভেঙ্গে যাবে।
★সুতরাং আপনার জানা বিষয় ""স্ত্রী সহবাসের সময় বীর্য বের হোক বা না হোক, স্বামীর গোপনাঙ্গ প্রবেশই গোসল ফরজের জন্য যথেষ্ট।
এবং হস্তমৈথুন করার সময় বা উত্তেজক কোন কিছু থেকে বিরত হয়ে গেলে ওদি বের হলেও, বীর্য বের না হলে গোসল ফরজ না""
এটি পুরোপুরি ঠিক।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَوْ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: فِي الْمَذْيِ الْوُضُوءُ، وَفِي الْمَنِيِّ الْغُسْلُ -
আলী (রাঃ) বলেন, আমার খুব বেশি মযি ঝরতো। বিষয়টা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালাম। তিনি বললেঃ মযি ঝরলে ওযূ এবং বীর্যপাতে গোসল করতে হয়।
[মুসনাদে আহমাদ ৮৬৯,হাদীস নং ৬৬২ দ্রষ্টব্য।]
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত গুলোতে শুধু অযু ভেঙ্গে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্তমৈথুন করা কোরআন সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম ও কবিরা গুনাহ।
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
عبد الله بن عمرو بن العاص عن النبي صلى الله عليه وسلم سبعة لا ينظر الله عز وجل إليهم يوم القيامة ولا يزكيهم ويقول : ادخلوا النار مع الداخلين : الفاعل والمفعول به ، والناكح يده ، وناكح البهيمة ، وناكح المرأة في دبرها ، وناكح المرأة وابنتها ، والزاني بحليلة جاره ،والمؤذي لجاره حتى يلعنه
“সাত শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন, কিয়ামতের দিন এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদেরকে জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দিবেন। এরা হল–সমকামী, হস্তমৈথুনকারী, জীবজন্তুর সাথে সঙ্গমকারী, স্ত্রীর সঙ্গে পুংমৈথুনকারী, কোন মহিলা ও তার কন্যাকে একসাথে বিবাহকারী, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারকারী এবং প্রতিবেশীকে এমন কষ্টদানকারী যে, যার কারণে সে তাকে অভিশাপ দেয় । তবে এরা যদি তাওবা করে তাহলে তারা সবাই হয়ত ক্ষমা পেতে পারে।” (বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান৭/৩২৯)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
হযরত আবু হুরায়রা রাযি বলেন,
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لَا مَحَالَةَ، فَزِنَا الْعَيْنَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ النُّطْقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলিয়াছেন,“দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।”(সহীহ মুসলিম-২৬৫৭)
★প্রশ্নে উল্লেখিত আনন্দ অনুভব করে মযি নির্গত করাও হারাম।জৈবিক চাহিদা পুরণের জন্য শরীয়ত বিবাহকে রেখেছে।বিবাহের সামর্থ্য না থাকাবস্থায় রোযা রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
তাই এহেন ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।