জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াত এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে
,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল আঃ এর সাথে রমযানের প্রত্যেক রাতে কুরআন মজীদ দাওর করতেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘হযরত জিবরীল আ. রমযানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন মজীদ শোনাতেন।’-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২
,
এ মাসে যেকোনো নেক আমলে অনেক ছওয়াব রয়েছেঃ
,
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘রমযানের ওমরা হজ্জ সমতুল্য।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬
অন্য এক বর্ণনায় (যা সনদের দিক থেকে দুর্বল) বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফযর আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। -শুআবুল ঈমান ৩/৩০৫-৩০৬
,
অর্থাৎ এ মাসে নফল আদায় করলে অন্য মাসের ফরযের ন্যায় ছওয়াব হয়। আর এ মাসের এক ফরযে অন্য মাসের ৭০ ফরযের সমান ছওয়াব পাওয়া যায়।
.
★কুরআন শরীফের বিশেষত্ব হচ্ছে, একটি হরফ তেলাওয়াতে দশটি নেকি হাসিল হয়। রমজানের বিশেষত্ব হচ্ছে, একটি নেকি দশ থেকে সাতশত পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
ইসলামী স্কলার গন বলেন যে আপনি যদি মাহে রমজানে কুরআন শরীফের একটি হরফ তেলাওয়াত করলেন। দশটি নেকি পেলেন। অতঃপর রমজানের কারণে তা দশ থেকে সাতশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি এখন থেকেই রমজানের নিয়তে কুরআন পড়া স্টার্ট করতে পারবেন।
এখনই কুরআন পড়া শুরু করলে অনেক ফায়দা হবে।
রমজানের নিয়তে অপেক্ষা না করে এখন থেকেই পড়ার পরামর্শ থাকবে।
এভাবেও খতম পূর্ণ করা যাবে।
★তবে রমজান মাসে কুরআন পাঠ করলে যেই পরিমান ছওয়াব হবে,এখন তিলাওয়াত করলে সেই পরিমান ছওয়াব হবেনা।
তবে প্রতি হরফের বিনিময়ে অবশ্যই দশ নেকি করে পাবেন।