জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে মক্কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘হে মক্কার অধিবাসীরা! তোমরা চার বুরদের কমে (৪৮ মাইল) মক্কা থেকে আসফান পর্যন্ত নামায কসর করবে না।’-(তাবরানী ১১/৯৭; বায়হাকী ৩/১৩৩; দারাকুতনী ১/৩৮৭; ইলাউস সুনান ৭/৩৪৯৪)
শরীয়তের বিধান হলো কোন ব্যক্তি যদি প্রথমেই মক্কায় পনের দিন অবস্থান করে ফেলে, তাহলে সে মুকীম হয়ে যায়। এরপর মিনা, মুযদালিফা এবং আরাফায়ও মুকীম হিসেবেই বাকী থাকে। তাই এ সময়গুলোতে নামায কসর করা যাবে না। বরং পূর্ণ নামায পড়া আবশ্যক।
হ্যাঁ, যদি হাজী সাহেব মক্কায় পনের দিন অবস্থান না করেই মিনা, আরাফা ও মুযদালিফার উদ্দেশ্যে বের হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মুসাফির।
উপরোক্ত তিন স্থানে হাজী সাহেব কসর নামায আদায় করবেন। [আপ কি মাসায়েল আওর উনকা হল-৫/৩৪৮-৩৪৯]
إذا قدم الكوفى فى مكة وهو ينوى أن يقيم فيها وبمنى خمسة عشر يوما فهو مسافر، لأن نية الإقامة ما يكون فى موضع واحد الخ (المبسوط للسرخسى، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-1/236)
সারমর্মঃ
কুফা নগরীর কোনো ব্যাক্তি যদি মক্কায় প্রবেশ করে,এবং মক্কায় ও মিনায় মিলে ১৫ দিন থাকার নিয়ত করে,তাহলেও সে মুসাফির থাকবে। কেননা এখান্র ইকামতের নিয়ত এক জায়গায় হয়নি।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা এখন মক্কায় কসর আদায় করবেন।