আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
308 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আশাকরি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে অনেক ভালো রেখেছেন।আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং সহোযোগিতায় আমিও ভালো আছি।

হুজুর আমি ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত ছিলাম।,আলহামদুলিল্লাহ পরবর্তীতে ওলি উল্লাহ হুজুরের নিকট মাসালা নেয়ার পর হতে আল্লাহর ইচ্ছায় এখন আমি সুস্থ।  হুজুর সেদিন একটা কথা শুনার পর হতে আমার মধ্যে পুনরায় ওয়াসওয়াসা আশা শুরু হইছে সেটা হলো কোনো মাসালা জানতে হলে কমপক্ষে ৩ জন বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের নিকট থেকে জানা,,,পরবর্তীতে আমি আরো ২-৩ জন মুফতী সাহেব কে প্রশ্ন করি উনারাও ওলি উল্লাহ হুজুরের জবাব কে সহিহ বলেন।

 হুজুর আমি শেষ বারের মতোন আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই এবং আমার ওয়াসওয়াসা কে দূর করতে চাই।এরপরে আর কোনো ওয়াসওয়াসা কে প্রশ্রয় দিবোনা ইনশাআল্লাহ। হুজুর আমি ঠিকই ছিলাম কিন্তু কমপক্ষে ৩জন বিজ্ঞ মুফতীর নিকট মাসালা জানতে হয় এইটা শুনার পর হতেই মূলত ওয়াসওয়াসা শুরু হয়।

হুজুর ওলি উল্লাহ হুজুরের নিকট যেই প্রশ্ন করা হয়েছিলো এবং ওলি উল্লাহ হুজুর যে জবাব দিয়েছিলেন এবং যে জবাব কে অন্যন্য মুফতী সাহেবগন সহিহ বলেছিলেন সেটা তুলে ধরলাম।

★প্রশ্নঃ হুজুর ধরেন একটা বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে এবং যে বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে তার কয়েকটি দিক রয়েছে।এখন কোন দিকটা শর্ত দেয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করা হবে কিভাবে?? আপনি বলেছিলেন যখন মুখে উচ্চারিত শব্দের মাঝে বিরোধ দেখা দিবে তখন নিয়্যাত যেই ছুরুতের উপর ছিলো সেই ছুরুত কেই শর্ত হিসেবে ধরা হবে।এইটা তো ঠিক আছে তাইনা?

 ★জবাব মুফতি সাহেবের(ওলি উল্লাহ হুজুরের) পক্ষ হতেঃ

 # স্পষ্ট মুখে উচ্চারণ এর পর সেটির খেলাফ বা বহির্ভুত কোনো নিয়ত থাকলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবেনা। তবে এর পক্ষে কোনো নিয়ত থাকলে বা কোনো ছুরতকে বাদ দেয়ার নিয়ত থাকলে সেই নিয়তটি গ্রহনযোগ্য হবে।
# প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এখানে যে শব্দ বলে কসম কাটবে, তার নিয়ত যদি ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হয়,বরং ঐ শব্দ সেই নিয়তেরও সম্ভাবনা রাখে,এমন হতে হবে। তার খেলাফ হওয়া যাবেনা।
(+) হুজুর উদাহারন দিয়েছিলেন এভাবে যে,,কেও তার বিবি কে বললো তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে কথা বললে তালাক।এখানে যদি সে তার বোনের সাথে কথা বলে তাহলে তালাক হবেনা,,যদিও বোনের নিয়্যাত করে থাকে তাহলেও সেই নিয়্যাত ধর্তব্য হবেনা।  তবে যদি ভাই বলতে সে শুধুমাত্র আপন ভাইকে উদ্যেশ্য করে তাহলে অন্যান্য যে খালাতো মামাতো ভাই আছে সেগুলা বাদ হয়ে যাবে,,অর্থাৎ আপন ভাই ছাড়া অন্যান্য ভাইদের সাথে কথা বললে তালাক হবেনা। কারন সে মুখে ভাই উচ্চারণ করেছে এবং সেই উচ্চারিত শব্দের মাঝে কোনো নিয়্যাত করেছে বা কোনো ছুরত বাদ দিয়েছে,,, সেজন্য সেইটা ধর্তব্য হবে। তবে হ্যা সে যে নিয়্যাত করেছিলো সেই বিষয়ে তাকে কসম করতে হবে।

~হুজুর আমার প্রশ্ন গুলির লিংক দিলাম

https://ifatwa.info/67371/

https://ifatwa.info/70055/

https://ifatwa.info/64900/

 হুজুর বেয়াদবি মাফ করবেন,,আমার ওলি উল্লাহ হুজুর সহ অন্যান্য সকল ওলামায়ে কেরামদের প্রতি অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে,শুধুমাত্র ওয়াসওয়াসা দূরীকরণে আপনাকে শেষবারের মতোন প্রশ্ন করা।মেহেরবানি করে উত্তর দিবেন,,আমি আপনাকে ফলো করি,আপনার ভিডিও গুলি দেখি।ইনশাআল্লাহ আপনার পর আমি আর কাওকে প্রশ্ন করবোনা কথা দিলাম। দোয়া করবেন আমার জন্যে।

হুজুর ওলি উল্লাহ হুজুরের জবাব তো শরিয়তের আলোকে একদম সহিহ তাইনা?? অন্যান্য মুফতী সাহেবগন যারা সত্যায়ন করেছেন তাদের কথাও তো সহিহ? আর হুজুর আমি তো ওয়াসওয়াসার রুগি,আমার জন্যে করণিয় কি, জানাবেন।

আর ওলি উল্লাহ হুজুর আমার সাথে ফোনে কথা বলে আমাকে আস্বস্ত করেছিলেন যে আমার সংসার ঠিক আছে এবং বহুবার প্রশ্নের জবাবো দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু হুজুর সেদিন অই কথা শুনার পর থেকে মনের ভিতর খুতখুতানি শুরু হইছে যা আমি থামাইতে পারতেছিনা।অর্থাৎ কমপক্ষে ৩জন মুফতি সাহেবের থেকে মাসালা জেনে নেয়া,কিন্তু আদো এইটা শরিয়তের কোনো কথা কিনা আমি জানিনা।আলহামদুলিল্লাহ ওলি উল্লাহ হুজুর যথেষ্ট বিজ্ঞ একজন আলেম,কোনো সন্দেহ নাই,এছাড়াও একটা ফতোয়া বিভাগেও প্রশ্ন করছিলাম সেখান থেকেও বলছে সংসার ঠিকিই আছে সমস্যা নাই।  কিন্তু ওয়াসওয়াসা আসতেছেই উক্ত কথা শুনার পর হতে,সেজন্য আপনাকে শেষ বার প্রশ্ন করলাম হুজুর। হুজুর আমাকে একটু বিশেষ ভাবে নসিহত করবেন এবং জবাব দিবেন প্লিজ।আমি দ্বীনের উপর পূর্ণাঙ্গ ভাবে চলতে চাই।


হুজুর আমি নিজেও বুঝি আমি ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত,,, কিন্তু যখন জেকে বসে ওয়াসওয়াসা তখন এটা কে নিয়ে শুধু ভাবতেইই থাকি আর ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকে। হুজুর রা প্রথমেই বলেছিলেন এগুলা নিয়ে যতোই ঘাটাঘাটি করবা ততোই এগুলা বাড়তে থাকবে এমনকি এক সময় মানসিক রুগি হয়ে যাবা।আমি আসলে তঝন সেই কথার গুরুত্ব বিবেচনা করিনি,,যারজন্যে আজ আমার এই অবস্থা।যদি সেদিন অর্থাৎ প্রথমেই এগুলা থেকে বের হয়ে যেতাম তাহলে এমন ওয়াসওয়াসা জীবনেও আসতোনা।
by (11 points)
কিঞ্চিৎ এডিট করা হয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাধিক মুফতিকে জিজ্ঞেস করতে হবে, বিষয়টা সঠিক নয়। বরং আপনার কাছে যিনি নির্ভর্যোগ্য হবেন, তাকেই জিজ্ঞাসা করে, তার ব্যখ্যামত মাস'আলাকে গ্রহণ করবেন। আল্লাহ আপনার ওয়াসওয়াসাকে দূর করুক।আমীন। ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তির উচিৎ, অতিসত্বর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (11 points)
হুজুর ওলি উল্লাহ হুজুরের জবাব তো শরিয়তের আলোকে একদম সহিহ তাইনা?? অন্যান্য মুফতী সাহেবগন যারা সত্যায়ন করেছেন তাদের কথাও তো সহিহ?

হুজুর স্পেসিফিক ভাবে এতোটুকুর জবাব পাইলে ভালো হইতো
by (11 points)
হুজুর ওলি উল্লাহ হুজুরের জবাব তো শরিয়তের আলোকে একদম সহিহ তাইনা?? অন্যান্য মুফতী সাহেবগন যারা সত্যায়ন করেছেন তাদের কথাও তো সহিহ?  হুজুর স্পেসিফিক ভাবে এতোটুকুর জবাব পাইলে ভালো হইতো
by (590,550 points)
জ্বী, সহীহ।জাযাকুমুল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...