আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
493 views
in ওয়াসওয়াসা by (7 points)
( মুফতি ইমদাদুল হকের নিকট প্রশ্ন গুলো করেছি।তিনি উত্তর দিবেন আশা করি।)
আসসালামু আলাইকুম । আমি একজন ওয়াসওয়াসা  রুগী। আমার বিয়ে, তালাক নিয়ে খুব ওয়াসওয়াসা।
আমার কিছু  প্রশ্ন আছে। আশা করি উত্তর দিবেন  ।
*প্রশ্ন১)* কাবিননামার ১৮ নং ছকের বিষয়ে দারুল ইফতা মাদ্রাসার কয়েকজন মুফতি   বলছে কাবিননামায়  স্বামীর সাক্ষর দেওয়ায়  তালাকের অধিকার পাওয়া হইছে।
** মুফতি লুৎফর রহমান ফরাজি বলছেন  স্বামী যদি  জীবনেও আঠারো নং ছকের অধিকারের  কথা না জানে তাহলে অধিকার পাবে না।  আর অধিকারের কথা যদি স্বামী  জীবনে একবার হলেও জানে  আর কাজি হ্যা লিখে দেয় তবে অধিকার পাবে।  এটাই মূল মাসালা।

** অন্য একজন মুফতি বলেছেন স্বামীর অজ্ঞাতে যদি  কাজি হ্যা লেখে আর স্বামী যদি পরে অস্বীকার করে অধিকার দিতে তাহলে   অধিকার পাবে না।
স্বামীর অজ্ঞাতে যদি লেখে এখন এই অজ্ঞাতে বলতে কি বোঝানো হয়ে?  অজ্ঞাতে মানে তো যে জীবনে একবারও  জানে নায় এমন।  কিন্ত উনি বলছেন স্বামীকে না জিজ্ঞাসা করে কাজি অধিকার লেখলে এটাই অজ্ঞাতে হয়। কারন তার কাবিননামায় কি লিখছে এটা সে জানে না। এজন্যই অজ্ঞাতেে বলা হয়েছে।     
উনি আরও বলেছেন বিয়ে স্বামী করেছে কাজি করে নায়।কাজেই অধিকার স্বামী দিবে  কাজি না।   এটা কি নিজের উক্তিতে  উনি বলেছেন? নাকি কোনো ফতোয়ার কিতাবে  স্বামীকে জিজ্ঞেস না করে   কাজি যদি হ্যা লিখে তাহলে অধিকার  পাওয়া হবে না। এমন টা  স্পষ্ট করে লেখা আছে ?

 আমি খুবই দ্বিধাদ্বন্দে আছি।   
এখন আমার এমনিতেই  সন্দেহের রোগ আছে। অজ্ঞাতে বলতে কি বোঝায় এবং   কোন মুফতির ফতোয়া সঠিক কিভাবে বুঝবো?
প্রশ্ন ২) একজন মুফতি বলেছেন ফতোয়ায়ে আলমগিরীতে কাবিননামার  ১৮ নং ছকের কথা আছে। এখন ১৮ নং ছকের ব্যাপারে কি লেখা আছে আলমগীরিিতে  আমাকে একটু বিস্তারিত লিখে দেন  অর্থসহ বা ছবি তুলে  ইমেইল করে দেন।

আমি এটা নিয়ে খুবই সম্যসায় আছি।
প্রশ্ন ৩) আমার স্বামী বিয়ের আগে কাবিননামার ১৮ নং ছকের অধিকারের কথা জানতো। কিন্ত বিয়ের দিন ব্যস্ততার কারনে ১৮ নং ছকের কথা তার মনে ছিল না। কাজি তাকে যেখানে যেখানে স্বাক্ষর করতে বলেছে উনি কাজির কথা মতো সেখানে স্বাক্ষর করেছেন। এতে কি আমি নিজের উপর তালাক গ্রহনের অধিকার পাবো?
প্রশ্ন ৪) আমার বিয়েতে কাজি প্রথমে কাবিননামা লিখেছে তারপরে ইজাব কবুল হয়েছে। ইজাব কবুলের পর স্বামীর স্বাক্ষর নিয়েছে। এতে কি তালাক গ্রহনের   অধিকার পাবো?
প্রশ্ন ৫) আমি শুনছি স্বামী বলছে  তুমি যখন ইচ্ছে তখন তালাক গ্রহন করতে পারবে।
আর স্বামী বলতেছে আমি  এটা বলি নায়।
কার কথা ধর্তব্য হবে?
এখন যদি  স্ত্রী  তালাক দিয়ে দেয় তাহলে কি তালাক হবে?
তালাক হলে যদি  তারা একসাথে থাকে  তাহলে পাপ কার হবে স্বামীর না স্ত্রীর?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(আপনার প্রশ্নের উত্তর,মনযোগ সহকারে পড়বেন)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

একটি বিষয় নিয়ে এতোজন কে জিজ্ঞাসা করার কোনো মানেই হয় না। বরং আপনি আপনার নিকট সবচেয়ে নির্ভর্যোগ্য যিনি শুধুমাত্র তাকে জিজ্ঞাসা করবেন। উনি যা বলবেন, সে অনুযায়ী আপনি আ'মল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
কোন মুফতি নির্ভরযোগ্য  কিভাবে বুঝবো? আমার এম্নিতেই ওয়াসওয়াসা আছে। 
বাকি প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিন প্লিজ।  
by (589,140 points)
আপনি আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে মুফতি নির্বাচন করে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...