জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যেহেতু বাদ্যযন্ত্র গুনাহের আসবাব,তাই বাদ্যযন্ত্রকেও ঘৃণা করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَنْ هَذَا قَالُوا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ . فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ‘ঈদের দিন মারওয়ান ঈদের মাঠে মিম্বার স্থাপন করে সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে মিম্বার এনেছো এবং সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো। অথচ ইতিপূর্বে (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ি রাশিদীনের যুগে) কখনো এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে? লোকজন বললো, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন, সে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন গর্হিত (শারী‘আত বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। এরূপ করতে অক্ষম হলে তা কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে ঘৃণা করবে (বা তা দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।
মুসলিম (অধ্যায় : ঈমান, অনুঃ অন্যায় হতে নিষেধ করা ঈমানের অর্ন্তভুক্ত এবং ঈমান বাড়ে ও কমে), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ দুই ঈদের সলাত, হাঃ ১২৭৫, এবং অধ্যায় : ফিত্না, অনুঃ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দান, হাঃ ৪০১৩), আহমাদ (৩/১০) আবু দাউদ ১১৪০)
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো পিতার উপার্জন যদি পুরাটাই হারাম হয়, তাহলে সন্তানের নিজের সামর্থ থাকলে পিতার হারাম উপার্জন ভোগ করা জায়েজ নয়।
★সুতরাং কারো পিতার যদি পুরো ইনকামই হারাম হয়,তাহলে সন্তানের যদি সামর্থ থাকে, সেই সাথে ঈমানহারা হবার শংকা না থাকে, মহিলাদের চাকূরীর যে সমস্ত শর্ত আছে,তাহা পালন করা সম্ভবপর হয়, তাহলে নিজেই কামাই করে জীবন চালানো সন্তানের জন্য জরুরী।
আর যদি যেই টাকা থেকে আপনার পরিবারের খাবার,ভরনপোষণ চলে,তার কিছু অংশ যদি হারাম টাকা হয়,আর কিছু অংশ হালাল হয়,তাহলে তা গ্রহন করা হারাম নয়।
,
★প্রশ্নে যেহেতু উল্লেখ আছে যে মেয়ের পিতার সম্পদ হালাল,হারাম মিশ্রিত,সুতরাং হারাম যদি কম হয়,হালালই যদি বেশি হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
,
আর যদি হারাম সম্পদই বেশি হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে সামর্থ থাকলে শরীয়ত কর্তৃক শর্ত পূরন করে মেয়ে চাকুরী করে,বা অন্য কোনো শরীয়ত সম্মত পন্থায় উপার্জন করে নিজে চলবে।
বিস্তারিত জানুনঃ