আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in ওয়াসওয়াসা by (20 points)
১. আমি বেশ কয়েকমাস যাবত বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা দ্বারা আক্রান্ত। সেই ওয়াসওয়াসা গুলোর মধ্যে একটি ওয়াসওয়াসা এমন যে, মনে করুন আমি কাউকে কোনো কিছু ধার দিয়েছি, যেমন টাকা পয়সা বা অন্য কোনো জিনিস। তখন আমার মধ্যে এমন চিন্তা আসে যে আমি মনে হয় তাকে সেই জিনিস বা টাকা একেবারে দিয়ে দিয়েছি, সেগুলো যাকে দিয়েছি তার থেকে আর নেবো না। অথচ আমি কিন্তু ধার দিয়েছি। কিংবা মনে করুন আমি কোনো জায়গায় কাজ করি। মাস শেষে বেতন নিতে হবে, কিংবা কারোর কোনো কাজ করার বিনিময়ে টাকা নিতে হবে। কিন্তু আমার মনে এমন চিন্তা আসে যে আমি বেতন নেবো না ফ্রিতে করে দেবো, কিংবা কারোর কোনো কাজ ফ্রিতে করে দেব। এমন অবস্থায় আমি যদি ধার দেয়া জিনিস ফেরত নিই, কিংবা বেতন বা কাজের টাকা নিই ইত্যাদি নেয়া কি জায়েজ হবে?

এছাড়া আরো একটি ওয়াসওয়াসা হলো, মনে করুন আমার কোনো জিনিস আছে। এখন হঠাৎ করে এমন চিন্তা আসে যে, অমুককে আমি ঐ জিনিসটা একেবারে দিয়ে দেবো। কিন্তু আমি কিন্তু ইচ্ছা করে এমন চিন্তা করতে চায়নি। তাহলে কি আমার সেসব জিনিস যাকে দেয়ার চিন্তা মাথায় এসেছিল তাকে দিতে হবে? সেগুলোর মালিকানা কি আমারই থাকবে? বিষয়টা অদ্ভুত।

২. প্রতিনিয়ত আমার মনে আরো একটি ওয়াসওয়াসা আসে। এর মাত্রা আরো ভয়াবহ। সেটা হলো তালাকের ওয়াসওয়াসা। এই ওয়াসওয়াসা শুরু হয়েছিল তালাকের মাসয়ালা জানার পর থেকে। হুটহাট যেখানে সেখানে এই ওয়াসওয়াসা সমস্যা সৃষ্টি করে। অথচ আমি অবিবাহিত। তালাক হওয়ার মত কোনো কথা আমি মুখে বলি না। কিন্তু প্রচণ্ড ভয়ে থাকি এই ভেবে যে, যদি শর্তযুক্ত তালাকের কোনো কথা বলে ফেলি তখন তো সর্বনাশ। এসব ওয়াসওয়াসার কারণে কিছু ভুলে বলে ফেললে কি সমস্যা হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কাউকে কোনো কিছু ধার দিয়েছেন, যেমন টাকা পয়সা বা অন্য কোনো জিনিস। এমতাবস্থায় যদি ওয়াসওয়াসা আসে যে, সেই জিনিস বা টাকা তাকর একেবারে দিয়ে দিয়েছেন,এমন অবস্থায়ও আপনি সেই টাকা বা জিনিস ফেরত নিতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
এইসব অমূলক চিন্তাভাবনা। এতেকরে আপনার কোনো সমস্যাই হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...