বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মুহাব্বত তো অন্তরের বিষয়, যার যাত ব্যাক্তিগত বিষয়, এটিকে বিধান জারী করে কাহারো উপর চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই।
শুধু এতটুকু বলা যায় যে প্রশ্নে উল্লেখিত কাউকে ঘৃণা করা যাবেনা।
মজহাব করতে হবে।
(০২)
সেক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবেনা।
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু সে যদি তা না হয়ে থাকে তবে যে কাফের বলে সম্বোধন করে তার ওপরই পতিত হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.
হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত বিষয়টি ধমকি স্বরুপ বলা হয়েছে।
এর দরুন বাস্তবিক অর্থে কেউ কাফের হয়ে যায়না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মন্তব্যকারী ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
টাইগার, স্পীড ইত্যাদি কোমল পানীয় হারাম নয়।
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের তাহকীক মতে এর মধ্যে যেই এলকোহল রয়েছে,তাহা খেজুর বা আঙ্গুরের রস দিয়ে বানানো নয়।
তাই এটি হারাম নয়।
(০৫)
সকল কওমি পন্থি আলেমদের বয়ান শুনতে পারেন।
(০৬)
এতে সে ওয়াজিব (তাকলিদে শাখসি) এর উপর আমল করলোনা।
সুতরাং ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার গুনাহ হবে।