আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার ৩টি বিষয় সম্পর্কে জানার ছিলো।

১) আমার একটি ছেলের সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো। ছেলেটি একজন আলিম এবং দেশের বাইরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তো বিয়ের প্রস্তাব আসার পর ছেলের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া, ফেসবুকে মাহরাম -নন মাহরাম ব্যাপারগুলো, উম্মাহকেন্দ্রিক ফিকির সবকিছু জানার পর আমার ও আমার পরিবারের ছেলেটিকে ও তার দ্বীনদারিতাকে পছন্দ হয়, ছেলের পরিবারেরও পছন্দ হয় আমার প্রস্তাবটি প্রাথমিকভাবে। তখন আমি ইস্তেখারা করি। এবং আমি প্রথমদিকে যতদিন ইস্তেখারা করেছি ততদিনই আমি স্বপ্ন দেখেছি এবং ছেলেটিও স্বপ্ন দেখেছে। উভয়ের স্বপ্নই পজেটিভ ছিলো ছেলেপক্ষ দেখতে আসার আগ পর্যন্ত। প্রসঙ্গত এর আগে আমি ইস্তেখারার পর কোনোদিন কাউকে স্বপ্নে দেখিনি এটাই প্রথম যে অধিকাংশ দিন আমি ইস্তেখারা করলেই ছেলেটিকে দেখেছি। এমনকি একবার আমার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছে এক জায়গায় এবং আমি ইস্তেখারা করেছি তখনও বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়া ছেলেটিকে স্বপ্নে দেখিনি বা রেজাল্ট পায়নি কোনো।
তো আমি দুইটা গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন দেখি।
প্রথম দিন দেখি আমি খুব খুশি, মনে হচ্ছিল আমার বিয়ে হয়ে গেছে এবং ফেসবুকে গট ম্যারিড স্ট্যাটাস দিতে চাচ্ছি। পরে বলছি থাক এখনই দিব না।
ওই স্বপ্নেরই পরের অংশে দেখি ওই আলিম ছেলেটি, আমি ও আমার মা ৩ জন পাশাপাশি বসা। আম্মু ছেলেটিকে নাসিহাহ করছে আর আমি মনে মনে ভাবছি এতোকিছু বলতে হয় ছেলেটি যদি পরে পিছিয়ে যায়! ঘুম থেকে উঠার পর মনে হয় স্বপ্নটি আমি আগের অংশ পরে ও পরের অংশ আগে দেখেছি।


কয়েকদিনের মধ্যে ছেলের পরিবার দেখতে আসার কথা বলে। আমি ও আমার মা অনবরত আল্লাহর কাছে দুয়া করতে থাকি যে যদি এখানে আমার রিযিক না থাকে তাহলে যেন দেখতে আসা পর্যন্ত না গড়ায়। কারণ তখন পর্যন্ত অনেক প্রস্তাব এলেও যে জায়গায় বিয়ে ফিক্সড হয়েছিল ওরা ছাড়া আমাকে দেখাদেখি পর্যন্ত পরিস্থিতি গড়ায়নি। হয়তো আল্লাহ আমাকে হিফাজত করে রেখেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো চেষ্টাই করিনি, শরিয়তের সীমারেখা লঙ্গন করে ছেলের সাথে ইচ্ছাকৃত যোগাযোগ করার। কিন্তু তারপরও ছেলেপক্ষ দেখতে আসে। ওইদিন রাতে ইস্তেখারা করে আল্লাহকে আমি বলি আমাকে তারা দেখার আসার পর কি রেজাল্ট আসে তা স্বপ্নে দেখাতে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে শুধু এটুকুই দেখায় যে তারা আমাকে দেখতে আসবে আর কিছু দেখায় না। পরে সত্যিই তারা দেখতে আসে। কিন্তু আমার হাইট ছেলের চেয়ে ৬ ইঞ্জি কম থাকায় ছেলের মা-বাবা অমত করে। এরপর আমি আল্লাহকে বলি আল্লাহ যদি আরও কোনো অধ্যায় বাকি থেকে থাকে স্বপ্নে দেখাতে। তিনি আমাকে স্বপ্নে দেখান। কি দেখান মনে নেই। তবে একদিন দেখেছিলাম বিয়ের পর আমরা কোথায় থাকবো এটা নিয়ে আলাপ হচ্ছে। কিন্তু তারপর সব স্টপ হয়ে যায়। আমি আরও দুদিন ইস্তেখারা করে আল্লাহকে বলি আল্লাহ যদি এই ছেলের সাথেই আমার বিয়ে হয় তাহলে স্বপ্নে দেখাইয়ো আজ। কিন্তু এরকমভাবে দুদিন বললে আমি আর স্বপ্নে কিছুই দেখিনি। তবে ছেলেটি ঘটক মারফত বলে সে দেশে ফেরার পর তখনও যদি আমি অবিবাহিত থাকি তাহলে সে সরাসরি আমাকে দেখবে এবং পছন্দ হলে ভেবে দেখবে আবার পরিবারে বলার।
কিছুদিন পর আমি স্বালাতুল হাজতের নামাজ পড়ে আল্লাহকে বলি আল্লাহ যদি আমার তাকদিরে বিয়ে রেখে থাকো তাহলে স্বপ্নে ইঙ্গিত দিও যেন আমি তোমার ইঙ্গিত বুঝতে পারি। আর আমার বিয়ে কখন হবে এবং কেমন হবে আমার জীবনসঙ্গী। ওইদিন রাতে আমি স্বপ্নে দেখি আমার বিয়ের আলাপ চলছে এবং এক জায়গায় না হওয়ার পর তার সাথে রিলেটেড কোনোভাবে এমন কিছু থেকে প্রস্তাব আসছে। তখন আমার ঘুম ভেঙে যায় এবং আমি বুঝি তাকদিরে আমার বিয়ে আছে এবং অবশ্যই তা নিকটবর্তী। এরপর আমি ফজরের আগে দিয়ে দীর্ঘ স্বপ্ন দেখি এর উপরই। যেমন আমাকে বলা হচ্ছে ওই আলিম ছেলেটিকে জীবনসঙ্গী বানানোর ব্যাপারে আমি যেন নাম ধরে দু'আ না করি। আমার যে জায়গায় তাকদির আছে তারা সবাই আমার সৌন্দর্য্যকে ও দ্বীনদারিতাকে সবদিক থেকে পছন্দ করেছে ও আমার উপর খুব স্যাটিসফাইড। আরও অনেককিছু দেখি। এরপর ফজর হয়। ফজর পরে ঘুমানোর পর অনেক সকাল অবধি আমি এই টপিকের উপরই উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখি। আমার মনে হয় প্রথমদিকে স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে থাকলেও শেষদিকে তা নিয়ে শয়তান খেলা করা শুরু করে।
এখন কথা হচ্ছে আমি কি ওই আলিম ছেলেটি এগোলে এগোতেও পারে এমন কোনো আশা রাখবো নাকি সবকিছু মন থেকে মুছে স্রেফ আল্লাহর উপর এটুকুই তাওয়াক্কুল করবো যে ইন শা আল্লাহ আল্লাহ উত্তম সময়ে উত্তম মানুষটিকে দিবেন আমার পেরেশানির কিছু নেই। কিন্তু আমার হয়েছে কি ওই স্বালাতুল হাজতের স্বপ্ন দেখার পর থেকেই দুয়া করি যে আল্লাহ আমাকে দ্বীনদারিতা, ইলম, এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড, পারিবারিক স্ট্যাটাস অর্থনৈতিক ও দ্বীনি দিক থেকে সবমিলিয়ে মিলিয়ে ওই ছেলের চেয়েও উত্তম কাউকে নির্ধারণ করো। আমার কি এভাবে দুয়া করা ঠিক হবে? এক দুদিন আগে আরেকজন তাবলীগের লোক থেকে খবর জানলো আমার পরিবার যে তাদের জেলায় নাকি ওই আলিম ছেলের পরিবারটি বিখ্যাত আলিম পরিবার হিসেবে খুবই সম্ভ্রান্ত, সম্মানিত ও ভালো একটি পরিবার।

আমার করণীয় কি?
আমি যেভাবে দুয়া করছি এভাবে করা কি ঠিক হবে?


২) আমার বান্ধুবীর স্বামী একজন মুফতি। তিনি তার ওস্তায থেকে ফাতওয়া নিয়েছেন। আমি কিছু কসম করেছিলাম। তার কাফফারা হিসেবে তিনি বলেছেন মিসকিনকে খাওয়া বা টাকা দেয়ার ব্যাপারে। আমি জিজ্ঞেস করেছি যে রোজা রাখলে হবেনা? তার স্বামী বলেছে স্বামর্থ্য থাকা স্বত্তেও কেন রোজা থাকবো? স্বামর্থ্য থাকলে রোজা রাখলে তো হবেনা। ওটা নাকি যার সামর্থ নাই তার জন্য। কিন্তু হিসেব করে দেখেছি পেটভরে ভালো মানের আহার করাতে গেলে ২০০০ টাকার মতো হয়তো লাগবে। এবার নাহয় ১০০০ মতো টাকা দিয়ে দিবো। কিন্তু এরপর যদি আবারও কোনো কারণে কসম করে ফেলি ভুলবশত তা আদায় করতে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে তো ১০০০ টাকা দিলেও একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে করণীয় কি?


৩) যাদের সাদাস্রাবের সমস্যা আছে ঘুম থেকে উঠার পর যদি মনে হয় স্বপ্নে বাজে কিছু দেখেছে। কিন্তু কাপড়ে বা যোনীপথের বাইরে কোনো আলামত না থাকে। কিন্তু যোনীর ভেতর থেকে যদি প্রথমে ঘন আঠালো এক ফোঁটা কিছু ও পরে ঘন অন্যান্য সময়ের স্রাবের মতোই কিছু পরিলক্ষিত হয় তাহলে কি গোসল ফরজ হবে?
আর স্বপ্নে বাজে কিছু দেখলে উঠার পর যদি অন্যান্য সময় যেমন স্রাব হয় ওইরকম কিছু থাকে তাহলে কি গোসল ফরজ হবে? অনেকসময় কিছু না দেখলেও সেই বোনটির জাগার পর যোনীপথের বাইরে এমন স্রাবের মতো কিছু থাকে। যে এটিকে স্রাব হিসেবেই ধরে নেয়।
এক্ষেত্রে মাস'আলা কি?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)

https://www.ifatwa.info/3920 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে,

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ

পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।(সূরা বাকারা-২১৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
কে আপনার জন্য কল্যাণকর আর কে অকল্যাণকর? তা আল্লাহই ভালো জানেন।সুতরাং নির্দিষ্ট করে কাউকে পাওয়ার জন্য দু'আ না করে বরং যা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে, যিনি আপনার জন্য কল্যাণকর হবেন, তার জন্যই আপনি দু'আ করবেন।

আল্লাহর কাছে আপনি এভাবে দু'আ করবেন,
হে আল্লাহ!
যে আমার জন্য কল্যাণকর হবে,তাকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দিয়ে দেন। অথবা ঐ মহিলা যদি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে তাকেই আমার জন্য জীবন সাথী বানিয়ে দিন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ঐ আলেম ছেলেটি যদি এগোতে চায়,এগোতে পারে।
তবে প্রশ্নের বিবরণ মতে  আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে,  সবকিছু মন থেকে মুছে স্রেফ আল্লাহর উপর এটুকুই তাওয়াক্কুল করবেন যে ইন শা আল্লাহ আল্লাহ উত্তম সময়ে উত্তম মানুষটিকে দিবেন।
আপনার পেরেশানির কিছু নেই।

আপনি যেভাবে দোয়া করতে চাচ্ছেন,এমন দোয়া করা যদিও জায়েজ,তবুও এভাবে দোয়া না করে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে দোয়া করবেন।

(০২)
১০ জন মিসকিনের প্রত্যেককে সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ করে টাকা বা সমপরিমান মূল্যের খানা খেতে দিবেন।

আপনি যদি সামর্থবান না হোন,সেক্ষেত্রে ৩ টি রোযা আদায় করবেন।

(০৩)
★এক্ষেত্রে যোনীর ভেতর থেকে যদি প্রথমে ঘন আঠালো এক ফোঁটা কিছু ও পরে ঘন অন্যান্য সময়ের স্রাবের মতোই কিছু পরিলক্ষিত হয়,তাহলে ঘন আঠালো যেটি বের হয়েছে,এটি কি? যদি এটি সম্পর্কে  বীর্য বা মযি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়, তাহলে গোসল ফরজ হবে।

নতুবা গোসল ফরজ হবেনা।
তবে সন্দেহ হলে সতর্কতামূলক গোসল করারই পরামর্শ থাকবে। 

মহিলাদের বীর্য চেনার পদ্ধতিঃ-

রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন,

مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ وَمَاءَ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ

“সাধারণত পুরুষের বীর্য হয় গাঢ় ও সাদা এবং স্ত্রীলোকের বীর্য হয় পাতলা ও হলদে।” (সহীহ মুসলিম-৩১১,মিশকাত-৪৩৪)

এ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11414

এ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1689


★আর স্বপ্নে বাজে কিছু দেখলে উঠার পর যদি অন্যান্য সময় যেমন স্রাব হয় ওইরকম কিছু থাকে তাহলে গোসল ফরজ হবেনা।

★এক্ষেত্রে স্বপ্নে কিছু না দেখলেও জেগে উঠার পর যোনীপথের বাইরে সাধারণ স্রাবের মতো কিছু থাকে।
তাহলেও গোসল ফরজ হবেনা।

তবে বীর্য বা মযি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে গোসল ফরজ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
সাদকাতুল ফিতর বর্তমানে জনপ্রতি কত টাকা?
২০ জনের হিসেবে সে অনুযায়ী কত দেয়া সমীচীন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...