আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
আস্সালামু আলাইকুম হযরত।
কিচু দিন যাবত একটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, সেটি হচ্ছে ফজরের আগে যখন ইস্তেন্জাতে যাই প্রস্রাব শেষে অনেক সময় নিয়েই প্রাই তিন চার মিনিট ধরে হাটা হটি করি প্রস্রাব ক্লিয়ার হওয়ার জন্য তো যখন দেখি ফোটা আসা বন্ধ হয়ে গেছে তখন বের হয়ে আসি কিন্ত
আজকে সহ গত তিন/চার দিন ধরে যখন মসজিদে গিয়ে সুন্নত পড়ি তখন মনে হয় প্রশাব এর রাস্তা দিয়ে কিছু বের হওয়ার মতো অনুভব হয় তাই গত কালো সেম যখন সুন্নত পড়ার সময় অনুভূতি হয় আর ফরজ নামাজের জামাত শুরু হযে গেছে তাই  ফরজ নামাজ শেষে ওয়াসরুমে গিয়ে চেক করি কিছু বের হয়েছে কিনা কিন্তু দেখি প্রস্রাবের রাস্তার মাথায় খুবই সামান্য একে বারে সুই এর মাথার মতো পরিমান এর প্রাস্রাব ছিলো এখন আমার কি আবার গত কাল এর নামাজ কাজা করে নিতে হবে হযরত?
২)আজকেও যখন সেম অনুভূতি হয় তাই আজকেও ফরজ নামাজ শেষে ওয়াস রুমে গিয়ে চেক করি কিন্তু প্রস্রাবের রাস্তায় কিছুই ছিলো না যখন নাড়াচাড়া করে দেখার চেস্টা করছিলাম তখন গত কালের মতই সেম সুই এর মাথার পরিমান প্রস্রাব বের হয়েছিলো। তহলে কি হযরত আজকের ফরজ নামাজ ও কি কাজা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .

حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার এসব নামাজ কাজা আদায় করতে হবে।
আপনার আসলেই সুন্নাত পড়ার সময় সামান্য পেশাব বের হচ্ছে।
তাই এই কয়দিনের ফজরের নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।

এক্ষেত্রে আপনি পেশাব করার পত লিঙ্গ নিংড়াবেন।

আপনি কয়েকবার নিংড়ানোর পর টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কিছুক্ষন হাটাহাটি করবেন।
এর পর ভালোভাবে পানি ঢেলে দিবেন।
এতে কাজ না হলে চিকিৎসা করাবেন।
,
আপাতত নামাজের আগ দিয়ে ইস্তেঞ্জা না করাই আপনার পবিত্রতার জন্য উচিত হবে।
নামাজের পর ইস্তেঞ্জা করবেন,নামাজের আগে কাপড়ে পেশাব লেগে যাওয়া স্থান ধুয়ে পাক করে নিবেন অথবা নামাজের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করবেন।     
সেই কাপড়টিকে শুধুমাত্র নামাজের সময়ে ব্যবহার করবেন।       

আরো জানুনঃ- 

(০২)
আজকের ফরজ নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হযরত বিষয়টি যদি এমন হয় যে প্রশাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হয়নি শুধু ফোটা প্রবাহিত হয়ে প্রস্রাবের রাস্তাতেই আটকিয়ে ছিলো। এবং আমি যখন চেক করার সময় নড়া চড়া করি তখন সেটা বাহিরে বের হয়েছে তাহলেও কি ওজু ভাঙবে?
কারন আজকেও সেম হয়েছে হযরত তারপর ওয়াসরুমে গিয়ে চেক করি, দেখি যে কোনো কিছু বের হয়নি যখন নড়াচড়া করছিলাম তখন বের হয়েছে। তারমানে ফোটা পুরুষাঙ্গে আটকিয়ে ছিলো।এইযে ফোটা পুরোপুরি বেরনা হয়ে আটকিয়ে ছিলো এতে করেও কি ওযু ও নমায ভেঙে যায় হযরত?
by (560,820 points)
না,এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
তাই নামাজেরও সমস্যা হবেনা।


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...