জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল।
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কেহ কেহ মনে করেন যে কেহ যদি মসজিদে এসে দেখে যে ইমাম যদি রুকু শেষ করে সেজদায় চলে গিয়েছে,তবে ইমামের সঙ্গে সেজদায় যোগ দিলে আপাত দৃষ্টিতে মুসল্লির লাভ হচ্ছে না, কারণ তার ওই রাকাআত তো হিসেবে আসবে না। তাই সেজদায় গিয়ে লাভ কী? সে জন্য কিছু মুসল্লিরা ইমামের সেজদা শেষ করে নতুন রাকাআত শুরুর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।
,
আসলে মুসল্লিদের এই যে ধারণা বা অভ্যাস; এটি আসলে ঠিক নয় বরং এ ধারণা বা অভ্যাসটি ভুল। মুসল্লিদের সেজদায় না গিয়ে অপেক্ষা করা এ জন্য ভুল যে, যদিও সেজদায় গেলে ওই রাকাআত হিসাবে আসবে না ঠিক; কিন্তু সেজদায় অংশগ্রহণ করলে অনেক সাওয়াব পাওয়া যাবে।
,
অপেক্ষা করলে কিন্তু কোনো সাওয়াব পাওয়া যাবে না কিন্তু সেজদায় অংশগ্রহণ করলে বিপুল পরিমাণ সাওয়াব লাভের সুযোগ থেকে যায়। একটি সেজদা করলেও একটি ইবাদত হয়ে যাবে।
তাই কেউ যদি জামাআতে নামাজ পড়তে এসে ইমামকে সেজদায় পায়, তবে মুসল্লির উচিত তখনই ইমামের সঙ্গে গিয়ে সেজদায় অংশগ্রহণ করা।
এ সেজদার মাধ্যমে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভের পাশাপাশি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে জান্নাতে থাকার সৌভাগ্য লাভ হবে।
,
সুতরাং মসজিদে যাওয়ার পর মানুষের উচিত, ইমাম সেজদায় থাকুক কিংবা বৈঠকে থাকুক, ইমামের সঙ্গে নামাজে অংশগ্রহ করা। আর এতে যতক্ষণ ইমামের সঙ্গে নামাজে থাকা যাবে ততক্ষণই পাওয়া যাবে কল্যাণ ও সাওয়াব।