আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১। অনেক সময় বিলম্ব হওয়ার কারণে জামাতের স্বলাতে গিয়ে যদি দেখা যায় ইমাম রুকু শেষ করে ১ সিজদায় চলে গিয়েছে এমন সময় উপস্থিত হলে অনেকে দারিয়ে থাকে। সিজদায় শরিক হয় না। এমত অবস্থায় যদি তাকবির দিয়ে ইমামের সাথে সিজদা দেয়া হয় যা নামাজির পরে অতিরিক্ত সিজদা হবে। এটা কি সহিহ নাকি দাঁড়িয়ে থেকে তাকবির দেয়া থেকে শুরু করতে হবে। ইমামের  রাকাতের সিজদা শেষ হলে??

২। শেষ বৈঠকে আমি যদি তাশাহুদ ও দুরুদের পর একাধিক দুয়ায় মাছুরা পড়ি তাহলে তা সহিহ কিনা। যেমন "আল্লাহুমা ইন্নি আউযুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম......"এটার পর
"আল্লাহুম্মা ইন্নি জ্বলামতু নাফসি......"  এটা পড়ে নামায শেষ করা যাবে কিনা????
জাযাক আল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কেহ কেহ মনে করেন যে কেহ যদি মসজিদে এসে দেখে যে ইমাম যদি রুকু শেষ করে সেজদায় চলে গিয়েছে,তবে ইমামের সঙ্গে সেজদায় যোগ দিলে আপাত দৃষ্টিতে মুসল্লির লাভ হচ্ছে না, কারণ তার ওই রাকাআত তো হিসেবে আসবে না। তাই সেজদায় গিয়ে লাভ কী? সে জন্য কিছু মুসল্লিরা ইমামের সেজদা শেষ করে নতুন রাকাআত শুরুর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।
,
আসলে মুসল্লিদের এই যে ধারণা বা অভ্যাস; এটি আসলে ঠিক নয় বরং এ ধারণা বা অভ্যাসটি ভুল। মুসল্লিদের সেজদায় না গিয়ে অপেক্ষা করা এ জন্য ভুল যে, যদিও সেজদায় গেলে ওই রাকাআত হিসাবে আসবে না ঠিক; কিন্তু সেজদায় অংশগ্রহণ করলে অনেক সাওয়াব পাওয়া যাবে।
,
অপেক্ষা করলে কিন্তু কোনো সাওয়াব পাওয়া যাবে না কিন্তু সেজদায় অংশগ্রহণ করলে বিপুল পরিমাণ সাওয়াব লাভের সুযোগ থেকে যায়। একটি সেজদা করলেও একটি ইবাদত হয়ে যাবে।

তাই কেউ যদি জামাআতে নামাজ পড়তে এসে ইমামকে সেজদায় পায়, তবে মুসল্লির উচিত তখনই ইমামের সঙ্গে গিয়ে সেজদায় অংশগ্রহণ করা।
এ সেজদার মাধ্যমে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভের পাশাপাশি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে জান্নাতে থাকার সৌভাগ্য লাভ হবে।
,
সুতরাং মসজিদে যাওয়ার পর মানুষের উচিত, ইমাম সেজদায় থাকুক কিংবা বৈঠকে থাকুক, ইমামের সঙ্গে নামাজে অংশগ্রহ করা। আর এতে যতক্ষণ ইমামের সঙ্গে নামাজে থাকা যাবে ততক্ষণই পাওয়া যাবে কল্যাণ ও সাওয়াব।

(০২)
এটি সহীহ হবে।
এভাবে নামাজ শেষ করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...