আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
অমুসলিম যদি আসসালামু আলাইকুম দেয় তাহলে কি সালাম নেয়া যাবে আর নেওয়া না গেলে কি বলতে পারি তাদের
শবে বরাত পালন করা বিদাত বা শবে বরাত এর রোজা নাই রোজা আছে শাবানের আইয়িম বীদ এর গ্রামের মহিলা দের এসব বললে তারা বলে আমরা তো এভাবে করে আসছি এখন নতুন হুজুর বের হয়েছে, নতুন নিয়ম বের করেছে তাদের কে কিভাবে বুঝায় তে পারি।
যারা দিনমজুর মহিলা তাদের কে পর্দা এর কথা বললে তারা দারিদ্র্য এর কথা বলে এদেরকে কিভাবে বুঝায় তে পারি।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা। 
,
সালাম ইসলামের সৌন্দর্য, একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না।

এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে  

أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 )  عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام … 
 ‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)
,
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « لاَ تَبْدَأُوا اليَهُودَ وَلاَ النَّصَارَى بالسَّلامِ، فَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ في طَرِيقٍ فَاضطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِهِ». رواه مسلم
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য করো।’’

(মুসলিম ২১৬৭, তিরমিযী ২৭০০, আবূ দাউদ ১৪৯, আহমাদ ৭৫১৩,৭৫৬২,৮৩৫৬,৯৪৩৩,৯৬০৩,১০৪৪১৮)
,
★তবে কোনো অমুসলিম সালাম দিলে তার জবাবে ওয়ালাইকুম বলা যাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أهْلُ الكِتَابِ فَقُولُوا: وَعَلَيْكُمْ» متفقٌ عَلَيْهِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কিতাবধারীরা (ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানরা) যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়, তখন তোমরা জবাবে বল, ‘ওয়া আলাইকুম।’’

(সহীহুল বুখারী ৬২৫৮, ৬৯২৬, মুসলিম ২১৬৩, তিরমিযী ৩৩০১, আবূ দাউদ ৫২০৭, ইবনু মাজাহ ৩৬৯৭, আহমাদ ১১৫৩৭,১১৭০৫,১১৭৩১,১২০১৯, ১২৫৮, ১২৫৮৩, ১২৬৭৪, ১৩৩৪৫)
,
অন্যত্রে এসেছেঃ 
ইয়াহুদীরা রাসুল (সাঃ) কে সালাম দিত; বলত, ‘আস্সা-মু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! (তোমার উপর মৃত্যু বর্ষণ হোক, হে মুহাম্মাদ!)’ ‘আসসা-ম’ এর অর্থ মৃত্যু। তারা রাসুল (সাঃ) কে মৃত্যুর বদ্দুআ দিত। তাই রাসুল (সাঃ) বললেন, ‘‘ইহুদীরা বলে, ‘আসসা-মু আলাইকুম।’ সুতরাং ওরা যখন তোমাদেরকে সালাম দেবে তখন তোমরা তার উত্তরে বল, ‘অ আলাইকুম।’’

ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻳﻬﻮﺩﻱ ﺃﻭ ﻧﺼﺮاﻧﻲ ﺃﻭ ﻣﺠﻮﺳﻲ ﻋﻠﻰ ﻣﺴﻠﻢ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﺎﻟﺮﺩ(ﻭ) ﻟﻜﻦ (ﻻ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﻠﻰ ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻋﻠﻴﻚ) ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺨﺎﻧﻴﺔ (ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ اﻟﺬﻣﻲ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻳﻜﻔﺮ) ﻷﻥ ﺗﺒﺠﻴﻞ اﻟﻜﺎﻓﺮ ﻛﻔﺮ ﻭﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﻤﺠﻮﺳﻲ ﻳﺎ ﺃﺳﺘﺎﺫ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻛﻔﺮ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﻓﻴﻬﺎ: ﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﺬﻣﻲ ﺃﻃﺎﻝ اﻟﻠﻪ ﺑﻘﺎءﻙ ﺇﻥ ﻧﻮﻯ ﺑﻘﻠﺒﻪ ﻟﻌﻠﻪ ﻳﺴﻠﻢ ﺃﻭ ﻳﺆﺩﻱ اﻟﺠﺰﻳﺔ ﺫﻟﻴﻼ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ.

সারমর্মঃ যদি কোনো ইহুদী বা খৃষ্টান বা অগ্নিপূজক  মুসলমানকে সালাম করে তাহলে তাহলে জবাব প্রদাণ করতে কোনো সমস্যা নেই।তবে জবাব প্রদাণের সময় অবশ্যই "ওয়া আলাইকা" এর বেশী বলবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের সালামের জবাবে ওয়ালাইকুম বলা যাবে।    

(০২)
এক্ষেত্রে শবে বরাতের রোযা সম্পর্কে তাদেরকে কিছু বুঝানোর আবশ্যকীয়তা নেই।

(০৩)
দিনমজুর মহিলাদেরকে পর্দার গুরুত্ব বুঝাতে হবে।
তাদেরকে এমন কাজের পরামর্শ দিতে হবে,যেখানে পর্দা রক্ষা করে তারা কাজ করতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...