আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (108 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি নামাজে ভেতর সুরা ইখলাসে আহাদ শব্দে আ কে আঈন হিসেবে পড়ি। আসলে হা তে বড় হা এটা আমি কেন জানি ভুলে গিয়েছিলাম,তাই ভেবেছিলাম আঈন যবর আ আর হা যবর হা আর দাল সাকিন এটাই সঠিক।পরে নামাজ পড়ে সন্দেহ হলে চেক করে দেখি আসলে আহাদ বানানে বড় হা রয়েছে আলিফ রয়েছে।আমি উক্ত নামাজ আবার পুনরায় পড়িনাই।কারন ওয়াক্ত পার হয়ে গিয়েছে।আমার কি নামাজ পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

বিস্তারিত জানুনঃ  

নিকটতম মাখরাজ বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন ছাড় দিয়েছেন।
উনারা বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে অনেকেই বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো  অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।  

আরো জানুনঃ-  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সুরা ইখলাসে আহাদ শব্দে আ কে আঈন হিসেবে আর বড় হা এর স্থানে ছোট হা পড়েছেন।

عَهْد ج عُهُود
['আহ্দ] শব্দের অর্থ হলো, 
প্রতিজ্ঞা,প্রতিশ্রুতি,ওয়াদা,শপথ,চুক্তি,দায়িত্ব,নিরাপত্তা,
আশ্রয়,,খাঁটি বন্ধুত্ব,সৌহার্দ্য,যুগ,আমল,সময়,কাল,
বছরের প্রথম বৃষ্টি,,খাঁটি বন্ধুত্ব,পরিচয়,জ্ঞান।

এক্ষেত্রে অর্থ হচ্ছে,তুমি বল আল্লাহ চুক্তি।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদিও কিছু স্কলারদের মতে নামাজ হয়ে গিয়েছ,তবে অনেকের মতে অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে গিয়েছে।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ছুরতে আপনি উক্ত নামাজ পুনরায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...