আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
১. আসসালামু আলাইকুম শায়েখ আমি নিচের প্রশ্ন করছিলাম।
 আমার একটা ছবি একটা ছেলের কাছে ছিল আমার ওয়াসওয়াসা আসে যে ওই ছবির ভেতর ইডিট করে কিছু লেখা ছিল কিনা। ছবি ছিলো নাকি ভিডিও ছিল। ঐ ছেলেটা আমাকে ছবিটা দিছিল ইনবক্সে। আমি শিওর মনে পড়ে (এই প্রশ্ন লেখার সময় শিওর হলাম) ঐটা ছবি ছিল ভিডিও না আর ছবির ভেতর কিছু লেখা ছিল না। এখন কি ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ করে জানতে হবে?  আসলে ওয়াসওয়াসা আসে ইজাব কবুল নিয়ে। যে ছবির ভেতর ইডিট করে বিয়ের ইজাব কবুল লিখলেও তো বিয়ে হয় না তাই তো শায়েখ?  আর আমি শিওর ছবির ভেতর ইডিট করে কিছু লেখা ছিল না। আমি ১০০% শিওর। আমার মনে পড়ছে সব। এগুলো ওয়াসওয়াসা আমি শিওর।

(১) কিন্তু এখন আমার পুরো ঘটনা মনে পড়ছে যে এমন কিছু হয় নাই। সব আমার কল্পনা ওয়াসওয়াসা এখননকি আমার ঐ ছেলের কাছে প্রশ্ন করা লাগবে?  যেখানে আমি শিওর ১০০%

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
(০১)
হানাফি মাযহাব মতে মোবাইলে ভিডিও কলে এভাবে বিবাহ শুদ্ধ হয়না।

যে সকল শায়েখরা মনে করে ভিডিও কলে ও অডিও কলে বা ফোন কলে বিয়ে হয়,তাদের কাছ থেকেই উল্লেখিত মাসয়ালা জেনে নেয়ার পরামর্শ রইলো। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এ কথায় তালাক হবেনা।

(০৩)
ছবির ভেতর ইডিট করে বিয়ের ইজাব কবুল লিখলেও বিয়ে হয় না।

সুতরাং ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ করে কিছুই জানতে হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্ত মনে সংসার চালিয়ে যান।
কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...