ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনার নামাজ আদায় হয়েছে।
,
আপনার আসলে এতকিছুর প্রয়োজন ছিলোনা।
আপনার নামাজ ভেঙ্গে দেয়াই উচিত হয়নি।
প্রথম নামাজেই আপনার সন্দেহ হলে যেই বিষয়ে সন্দেহ হয়েছে,প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
কোনোদিকে প্রবল ধারনা না হলে আপনার যেই রুকন নিয়ে সন্দেহ হয়েছে, কম সংখ্যক রুকন ধরে পুনরায় সেটি আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।
তাহলেই নামাজ হয়ে যাবে।
(০২)
শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করা ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে ২ টি সেজদাহ আদায় করতে হবে।
অতঃপর তাশাহুদ,দরুদ শরীর,দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে দিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لِكُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ "
সাওবান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের যেকোন ভুলের জন্য সালাম ফিরানোর পর দু‘টি সিজদা্ করতে হয়।
(আবু দাউদ ১০৩৮.ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সালাত ক্বায়িম, অনুঃ সালামের পর সাহু সিজদা করা, হাঃ ১২১৯), আহমাদ (৫/২৮০), বায়হাক্বী (২/৩৩৭)
★সুতরাং আপনি শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর ডান দিকে সালাম ফিরাবেন অতঃপর দুটি সেজদাহ আদায় করে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করবেন।
(০৩)
আপনি যদি ইশার নামাজের পর রাত জেগে পড়েন, তাহলে সুন্নত বিরোধী কাজ হবেনা।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَن سُوَيْد ابْن النُّعْمَان: أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بالصهباء وَهِي أَدْنَى خَيْبَرَ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَعَا بِالْأَزْوَادِ فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيقِ فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِيَ فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَكَلْنَا ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا ثمَّ صلى وَلم يتَوَضَّأ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
সুওয়াইদ ইবনু নু‘মান (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খায়বার যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তাঁরা খায়বারের অতি নিকটে ‘সহবা’ নামক স্থানে যখন পৌঁছলেন, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর আহার পরিবেশন করতে বললেন, কিন্তু ছাতু ছাড়া আর কিছু পাওয়া গেল না। তিনি নির্দেশ দিলেন। তাই পানি দিয়ে ছাতু নরম করা হলো। এ ছাতু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেও খেলেন আমরাও খেলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাগরিবের সালাতের জন্য দাঁড়ালেন এবং শুধু কুলি করলেন। আর আমরাও কুলি করলাম। এ অবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত আদায় করলেন, অথচ নতুনভাবে অযু করলেন না।
(বুখারী ২০৯, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭৭০,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৯)
★উক্ত হাদীসের হুকুম সহীহ।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
খাওয়ার পরে পানি না করাই সুন্নাত,এর বিপরীত করলে সুন্মাহর খেলাফ হবে,বা গুনাহ হবে,বিষয়টি এমন নহে।
তবে কিছু ফুকাহায়ে কেরামগন ও ডাক্তারগনদের মতে খাওয়ার আগে পানি পান করা স্বাস্থসম্মত, আর খাওয়ার পর পানি পান করাটা ক্ষতিকর। খাওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট পর পানি পান করা উচিত। তাই স্বাস্থসম্মত দিক থেকে আপনি খাওয়ার ১৫ মিনিট পর পানি করার চেষ্টা করবেন।