ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ যাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিধানের একটি।
নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর যাকাত প্রদান করা ফরয।
যাকাতের নেসাব-
৭.৫ তুলা স্বর্ণ অথবা ৫২ভড়ি রূপা বা তার সমমূল্যের টাকার মালিকের উপর ২.৫%করে যাকাত দেওয়া ফরয।
যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে ?
৮টি খাতে যাকাতের মালকে ব্যবহার করা যায়।
এ সম্পর্কে আল-কুরআনের বাণী শুনুন-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আত-তাওবাহ-৬০)
ফকির-মিসকিন শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা বর্ণিত থাকলেও আমরা একটুকু বলতে পারি যে,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই তাকে যাকাত দেওয়া যাবে।
মনে রাখবেন যাকাত দেওয়া যেমন ইবাদত, ঠিকতেমনিভাবে নির্দিষ্ট খাতে ব্যবহার করাটাও একটা ইবাদত।
তাই সঠিক হকদারকে দান করাটা যাকাত আদায় হওয়ার জন্য অতীব জরুরী।
যদি সে এ পরিমাণ নি:স্ব হয়ে যায় যে,তার নিকট এখন আর নেসাব পরিমাণ বাড়ন্ত মাল নেই তাহলে সে যাকাতের মাল গ্রহণ করতে পারবে।
অথবা যদি সে চিকিৎসা বাবৎ খরছ করতে গিয়ে এ পরিমাণ ঋণী হয়ে যায় যে,বর্তমানে ঋণ পরিশোধ করার মত তার তাওফিক নেই, তাহলে তার জন্য
ঋণ পরিশোধ করে যাকাতের মাল গ্রহণ বৈধ হবে।