আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

১। ওস্তাদ আমার এক বন্ধু গলায় তাবিজ পড়া ছিল, এইটা দেখে আমি বলেছিলাম তাবিজ পড়া শিরক, এইটা বলার পর কি আমার গুনাহ হবে কি??  বা ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি??

২। গতদিন সোসাল মিডিয়ায় দেখলাম কাদিয়ানীরা ইজতেমার আয়োজন করতাছে, এই ইজতেমার দায়িত্ব শীল যারা আছে সকলেই কি কাফের??  তাদের কাফের বলা যাবে কি??সে মুরত|দ হয়ে যাবে কি???

৩। কাদিয়ানী সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্ন ছিল যে কেউ তাদের আকিদা গ্রগ্রহণ করলে কি তার বউ এর সাথে কি তিন তালাক হয়ে যাবে??

৪। কাদিয়ানী রা কি জিন্দিক বা মুরতাদ ??? এদের জিন্দিক বা মুরতাদ  বলা যাবে কি??

৫। এই ইজতেমায় যারা যাবে সবার কি ঈমান চলে যাবে??

৬। এখানে সমর্থন করা কি  কু ফর??

৭।  যারা তাদের ক|ফের বলবে না তারাও কি  ক|ফের হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) গলায় তাবিজ দেওয়াকে ঢালাওভাবে কুফরি বলা যাবে না। কিছু তাবিজে শিরক রয়েছে এবং কিছু তাবিজ জায়েয হতে পারে যদি তাতে জায়েয হওয়ার শর্ত সমূহ বিদ্যমান থাকে। সুতরাং এভাবে আপনার বলাটা উচিৎ হয়নি।ভবিষ্যতে অার এরকম কিছু বলবেন না। তবে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হয়নি।

(২)
কাদিয়ানিরা কাফির।কেননা তারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম'কে শেষ নবী হিসেবে মানেন না। অথচ সর্বশেষ ধর্ম হল ইসলাম এবং সর্বশেষ নবী হলেন, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম'।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
 الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ فَإِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। (সূরা মায়েদা : ৩) 

আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। (সূরা আহযাব-৪০)

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فُضِّلْتُ عَلَى الأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ " .
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্য সব নবীদের চাইতে আমাকে ছয়টি বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে। আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমাকে অত্যন্ত প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য গনীমাতের (যুদ্ধলব্ধ) অর্থ হালাল করা হয়েছে। আমার জন্য গোটা পৃথিবীর ভূমি বা মাটি পবিত্রতা হাসিলকার এবং মসজিদ করা হয়েছে। আমাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য (নবী করে) পাঠানো হয়েছে। আর আমাকে দিয়ে নবীদের আগমন-ধারা সমাপ্ত করা হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৮, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৭)
(সহীহ মুসলিম, মাসাজিদ, হাদীস : ৫২৩)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাদিয়ানিরা অমুসলিম এতে কোনো সন্দেহ নাই। সৌদি সহ আরবের সকল দেশ এবং পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।

(৩) যে কেউ কাদিয়ানিদের আকিদাকে গ্রহণ করবে, তার বউয়ের সাথে তিন তালাক হয়ে যাবে।

(৪) কাদিয়ানীরা জিন্দিক ও মুরতাদ। এদেরকে জিন্দিক বা মুরতাদ বলাতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫) এই ইজতেমায় যারা যাবে, তাদের কারোরই ঈমান থাকবে না।

(৬) এদের সমর্থন করা কুফরি।


(৭) যারা তাদেরকে মানবে না, তাদেরও ঈমান থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...