ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাইবেল অর্থ কিতাবের জুড়ি। বাইবেল পূর্ববর্তী সকল কিতাবের একটি সংস্করণ। বাইবেলের মধ্য তাওরাত,জবুর, ইঞ্জিল সকল কিতাব-ই বিদ্যমান রয়েছে। এসব কিতাব আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে,এ সম্পর্কে কারোরই দ্বিমত নাই। বাইবেল কিতাবে মানুষ কর্তৃক সংযোজন ও বিয়োজন হয়েছে।এটাও সঠিক। তবে কোন কোন জায়গায় সংযোজন বিয়োজন হয়েছে, এবং কতটুকু হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো নিশ্চয়তা নাই।
আপনার বক্তব্য সঠিক, কেননা ঈমানে মুজমাল কালিমার সারমর্মই এটা।
ঈমানে মুজমাল :
امنت بالله كما هو باسمائه وصفاته وقبلت جميع احكامه و اركانه
উচ্চারাণঃ- আমানতু বিল্লাহি কামা হুয়া বি আসমায়িহী ওয়া ছিফাতিহী ওয়াক্বাবিলতু জামিয়া আহ্কামিহী ও আরকানিহী।
অর্থঃ-সর্বমহান সুন্দর নাম ও গুণ বিশিষ্ট আল্লাহ্ তা'আলার উপর ঈমান আনলাম এবং তাঁর আদেশাবলী ও নিষেধসমূহ মেনে নিলাম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হয়নি।
(২) তাওরাত যবুর,ইঞ্জিলের আল্লাহর কিতাব।এগুলোর উপর ঈমান নিয়ে আসাটা জরুরী। তবে বাইবেল কিতাবে কি ঐ গুলো কিতাবকে যথার্থ ভাবে নিয়ে আসা হয়েছে, এসম্পর্কে কোনো নিশ্চিতি যেহেতু নাই, তাই বাইলের উপর ঈমান নিয়ে আসা জরুরী নয়।
(৩)
না,প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।