আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমার নানা মুমূর্ষু।  এমন ব্যক্তির পাশে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করতে হয়।আমার পরিবারে আমি ছাড়া দ্বীনদার আর কেও নেই। সবাই আমাকে তার পাশে বসে তিলাওয়াত করতে বলে।কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ায় যখন তখন রুমের ভিতর নন মাহরাম আসে। আমাদের মধ্যে এমন কেও নেই যে নন মাহরামদেরকে বের করে দিবে যাতে আমি তিলাওয়াত করতে পারি। পরিবারে পুরুষ যারা আছেন তারা কুরআন পড়তে জানেন না। তালকিন করতে বললে করে না।আবার নানা যে রুমে থাকেন পাশের বাড়ির রুমটা একই সাথে।ওখানে নন মাহরাম থাকে। নানার রুমের সব কথা আস্তে বললেও সেই রুমে শুনা যায়, তাদের সব কথাও শুনা যায়। আশে পাশে কোনো পুরুষও নেই যে তাকে ডেকে এনে তিলাওয়াত করানো যাবে।

এমন অবস্থায় করণীয় কী? মোবাইলে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত প্লে করে শুনানো যাবে?
এমন অবস্থায় তালক্বিন কিভাবে করবো?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230301_161227_847.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সূরা আহযাব-৫৩ নং আয়াতের ভিত্তিতে বলা যায় যে,
পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে কোনো বেগানা নারীর সাথে কথা বলা নিষেধ।তবে গায়রে মাহরাম আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পর্দার আড়ালে থেকে বলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
-সূরা আহযাব : ৩২; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৭৬৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৩৮; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৬; ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ২৬৯

ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;১৯/১৯৩ এ নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার (মারজুহ) রেওয়াতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অগ্রাধিকার দিয়ে বলা হয়েছে যে,পর-পুরুষের সামনে মহিলা বক্তৃতা দিতে পারবে না।বক্তৃতা প্রদান জায়েয হবে না।

যেহেতু নারীকন্ঠ মূলত সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়,তাই ফিৎনার আশংকা না থাকলে তথা বৃদ্ধ মহিলা বা বিশেষ প্রয়োজন থাকলে তাদের কন্ঠ শুনার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। সতর্কতামূলক এত্থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1058

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নানাকে তালকিন করার মতো কেউ নেই, এবং পাশের রুম থেকে আওয়াজ শুনা যায়, তাই আপনি যথাসম্ভব নিম্নস্বরে নানার পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করবেন, তালকিন করবেন। বাহিরের কেউ আপনার নানার রুমে আসলে তখন আপনি ভিন্ন রুমে চলে যাবেন। যথাসম্ভব নিজের কন্ঠকে পরপুরুষ থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...