ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সূরা আহযাব-৫৩ নং আয়াতের ভিত্তিতে বলা যায় যে,
পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে কোনো বেগানা নারীর সাথে কথা বলা নিষেধ।তবে গায়রে মাহরাম আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পর্দার আড়ালে থেকে বলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
-সূরা আহযাব : ৩২; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৭৬৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৩৮; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৬; ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ২৬৯
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;১৯/১৯৩ এ নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার (মারজুহ) রেওয়াতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অগ্রাধিকার দিয়ে বলা হয়েছে যে,পর-পুরুষের সামনে মহিলা বক্তৃতা দিতে পারবে না।বক্তৃতা প্রদান জায়েয হবে না।
যেহেতু নারীকন্ঠ মূলত সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়,তাই ফিৎনার আশংকা না থাকলে তথা বৃদ্ধ মহিলা বা বিশেষ প্রয়োজন থাকলে তাদের কন্ঠ শুনার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। সতর্কতামূলক এত্থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1058
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নানাকে তালকিন করার মতো কেউ নেই, এবং পাশের রুম থেকে আওয়াজ শুনা যায়, তাই আপনি যথাসম্ভব নিম্নস্বরে নানার পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করবেন, তালকিন করবেন। বাহিরের কেউ আপনার নানার রুমে আসলে তখন আপনি ভিন্ন রুমে চলে যাবেন। যথাসম্ভব নিজের কন্ঠকে পরপুরুষ থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করবেন।