আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
184 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (54 points)
❝মৃত ব্যক্তিকে তার স্বজনদের আহাজারির জন্য কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়।❞

 সহীহ মুসলিমঃ২০২৭

এই হাদিসে বলা আছে যে মৃত ব্যক্তিকে তার স্বজনদের বিলাপ করার কারণে শাস্তি দেয়া হয়।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে কি ধরনের কান্নাকাটি করলে তাদের শাস্তি হবে?একটু ও কি কান্না করা যাবে না?আর তার স্বজনরা কাঁদলে মৃতদের কি দোষ?আর মৃত ব্যক্তি যদি বেঁচে থাকতেই সাবধান করে দিয়ে যায় তাহলেও শাস্তি হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (588,780 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মৃত ব্যক্তির জন্য নিঃশব্দে কান্না করা যাবে।তবে উচ্ছস্বরে বিলাপ করে কান্না করা নাজায়েয ও হারাম।
মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজন বিলাপ করে কান্না করলে এরজন্য কি মৃত ব্যক্তির কবরে আযাব হবে? 
এমন প্রশ্নের জবাব খুজতে গিয়ে আমাদের সামনে দু'টি
হাদীস এসেছে,

ইবনে উমার (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। 
 عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ تَابَعَهُ عَبْدُ الأَعْلَى حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ وَقَالَ آدَمُ عَنْ شُعْبَةَ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ عَلَيْهِ
তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য কৃত বিলাপের বিষয়ের উপর কবরে শাস্তি দেয়া হয়। আবদুল আ‘লা (রহ.).....কাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনায় আবদান (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। আদম (রহ.) শু’বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য জীবিতদের কান্নার কারণে ‘আযাব দেয়া হয়।(সহীহ বোখারী-১২৯২)

(৩)ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন,
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ رَحِمَ اللهُ عُمَرَ وَاللهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ لَيُعَذِّبُ الْمُؤْمِنَ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ وَلَكِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ لَيَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ وَقَالَتْ حَسْبُكُمْ الْقُرْآنُ (وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى) قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ عِنْدَ ذَلِكَ وَاللهُ (هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى) قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ وَاللهِ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ شَيْئًا
 ‘উমার (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট আমি ‘উমার (রাঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ ‘উমার (রাঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহ্র কসম! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেননি যে, আল্লাহ্ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন তার পরিজনের কান্নার কারণে। অতঃপর ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বললেন, (এ ব্যাপারে) আল্লাহ্র কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। (ইরশাদ হয়েছে)ঃ ‘বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না’- (আন‘আম ১৬৪)। তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্ই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান। রাবী ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহ.) বলেন, আল্লাহ্র কসম! (এ কথা শুনে) ইবনু ‘উমার (রাঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।(সহীহ বোখারী-১২৮৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
িউপরে আমরা পরস্পর বিরোধীূ হাদীস দেখতে পেয়েছি, প্রথম দুই হাদীস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম যে, জীবতর কান্না দ্বারা কবরে মৃত ব্যক্তির আযাব হয়। আর শেষ হাদীস দ্বারা বুঝতে পারলাম যে, আযাব হয় না। এই পরস্পর বিরোধী হাদীসের ব্যখ্যা কি হতে পারে? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন মতামত পেশ করে থাকেন, সর্বোত্তম ব্যখ্যা হল,  কারো কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না করলে তখনই তাকে শাস্তি দেয়া হবে,যদি দুনিয়াতে সে এ জিনিষের উপর সন্তুষ্ট থাকে যে, তার মৃত্যুর পর লোকজন তার জন্য আওয়াজ করে কান্না করুক  বা এরকম কান্না করা তার নিয়ম ও স্বভাব ছিলো।সে জন্য তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11722


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,780 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...