আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
473 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (5 points)
আস সালামু আলাইকুম
বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে যদি জুমার দিনের সুন্নাতসমূহ পালন করা হয়, তাহলে কি জুমার দিনের সুন্নাত আদায়ের ফযিলত পাওয়া যাবে? নাকি জুমাবার এর সূর্যোদয়ের পর থেকে এই সুন্নাতসমূহ পালন করতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শুক্রুবার দিনের সাথে সম্পর্কিত যে সব সুন্নতের কথা বর্ণিত রয়েছে,সেগুলোকে দিনেই আদায় করতে হবে।যেমন,শুক্রবারের গোসল,খুশবু,শুক্রুবারের জুমুআহ এর সুন্নতে কাবলিয়্যাহ এবং সুন্নতে বা'দিয়্যহ ইত্যাদি।

তবে যে সব সুন্নতের সম্পর্ক দিনের সাথে নয়,বরং শুধুমাত্র শুক্রবার বলে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,বা শুক্রবার দিন এবং বৃহস্পতিবার রাতের সময়ে বর্ণিত রয়েছে,
সেগুলোকে শুক্রবার দিন বা বৃহস্পতিবার রাতে আদায় করা যাবে।যেমন সূরায়ে কাহাফের তিলাওয়াত ইত্যাদি।বৃহস্পতিবার দিন পরবর্তী শুক্রবার রাত বা শুক্রবার  দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াতের কথা হাদীসে এসেছে।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي سعيد الخدري قال : " من قرأ سورة الكهف ليلة الجمعة أضاء له من النور فيما بينه وبين البيت العتيق "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি শুক্রবার রাত বা শুক্রবার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে।তার এবং কা'বা ঘরের মধ্যবর্তী স্থানকে নুর দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে।(সুনানে দারেমি-৩৪০৭,সহীহুল জা'মে-৬৪৭১)

যে ব্যক্তি শুক্রবার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে,পরবর্তী জুমুআহ পর্যন্ত সে নূর দ্বারা আলোকিত থাকবে।
من قرأ سورة الكهف في يوم الجمعة أضاء له من النور ما بين الجمعتين " .
(হাকিম-২/৩৯৯,বায়হাক্বী-৩/২৪৯

ইবনে হাজার রাহ বলেন,সূরা কাহাফ তেলাওয়াত সম্পর্কে এটাই বিশুদ্ধতম হাদীস।(ফয়যুল কাদির-৬/১৯৮)
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " من قرأ سورة الكهف في يوم الجمعة سطع له نور من تحت قدمه إلى عنان السماء يضيء له يوم القيامة ، وغفر له ما بين   الجمعتين ".
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে,তার পদপৃষ্ঠ থেকে আকাশের উপর পর্যন্ত কিয়ামতের দিন আলোকিত হবে।এবং পরবর্তী জুমুআহ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।(আত-তারগিব-১/২৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন-হাদীসের আলোচনা থেকে যা বুঝা যাচ্ছে,সেটা হল,উক্ত ফযিলত তারাই পাবে,যারা বৃহস্পতিবার বা শুক্রুবারে পড়বে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...