আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ওস্তাদ আমার বাবা-মা আমার বিয়ের জন্য একটা ব্যাংকার ছেলে পছন্দ করেছেন, কিন্তু আমি কোনো ব্যাংকার কেই বিয়ে করতে চাচ্ছিনা, ইনকাম হারাম হওয়ার সম্ভাবণা আছে বলে,সেই সাথে উক্ত ছেলেকে আমার ভালোও লাগেনি। বাবা-মাকে আমার সিদ্ধান্ত জানালে সবাই মিলে আমায় অই ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে আর বলছেন বিয়ের পর ছেলেকে দ্বীনমুখী বানাইতে। কিন্তু তাতেও আমাকে অনড় থাকতে দেখে আমার কোনো পছন্দ আছে কি না জিজ্ঞেস করলে আমি ওনাদের আমার পছন্দের কথা জানায়। আমার কোনো হারাম সম্পর্ক নেই কিন্তু আমি একজনকে পছন্দ করি,আর আমার মনে হয় যে আমি তার সাথে যথাযথ হক আদায়ের সাথে সংসার করতে সমর্থ হবো, অবশ্যই সব কিছু আল্লাহই ভালো জানেন কিন্তু তারপরও কেনো জানি আমার মন বলে ছেলেটা আমার জন্য ঠিক। আমি এই ব্যাপারে বহু বার ইস্তেখারাও করেছি, আর আমি কেনো জানি তার প্রতি অন্তরে এক প্রকার ঝোক অনুভব করি। আমি আমার পরিবারকে তার ব্যাপারে খোজ নিতে জানায় এবং যদি তার মধ্যে কোনো খারাপ কিছু বা তার পরিবারে আমার দ্বীনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখে থাকলে আমি সাথে সাথে তাকে রিজেক্ট করে দেয়ার কথাও বলেছি কিন্তু ওনারা এটা করতেও রাজি না এবং আমাকেই বলছে আমি পছন্দ করেছি আমাকেই খোজ নিতে। আর আমি আশংকা করছি যদি আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয় আমি অন্যের হক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে যাবো। অন্তত মনের স্বান্তনার জন্য হলেও আমি সেই ছেলেটার ব্যাপারে সব কিছু জেনে সিদ্ধান্ত নিতে চায় এতে তার সাথে আমার বিয়ে না হলে না হোক।এতে অন্তত আমি শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে পারবো। কিন্তু আমার পরিবার মানতেই চাই না কারণ সেই ছেলেটা প্রবাসী এবং তার বাড়ি ফেনী জেলায় আর আমি চট্টগ্রামের। তাছাড়া মেয়ের কথা মতো বিয়ে দিলে নাকি সমাজে মা-বাবার মান-ইজ্জত থাকবে না। আর সেই ছেলে দেশে না থাকায় বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়াও তার সম্ভব হচ্ছে না। এই নিয়ে নানাভাবে অনেক জুলুম-অত্যাচার করা হচ্ছে আমার উপর। পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম চলছে। ওনারা মানবেন না বলছেন, আমার নাকি নিজের কাউকে পছন্দ করার অধিকার নেই। ওনারা বলছেন ওনারা যাকে বলবে তাকে বিয়ে না করলে হয় আমাকে মরতে হবে নয়তো আমাকে সেখানে বিয়ে করতে হবে যেখানে ওনারা চাইবেন। কিন্তু এতে আমি অন্যের হক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার চরম আশংকা করছি।

এখন আমার কি করা উচিত ওস্তাদ? বিয়েতে রাজি না হওয়াতে আমি কি গুনাহগার হয়ে যাচ্ছি?বাবা মা কে না জানিয়ে যে ছেলে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাকে আমার সমস্যার কথা জানিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়াতে কি আমার গুনাহ হবে? আর ইস্তেখারার পর সেই ছেলেটার(যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি) প্রতি অন্তরের ঝোক/টান অনুভব করা এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?এক্ষেত্রে সেই ছেলের জন্য অপেক্ষা করা কি আমার জন্য সমীচিন হবে কেননা সে দেশে এলেই তার বাবা-মা নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিবে বলে জানিয়েছে। এই নিয়ে তার সাথে কথা বলা কি আমার উচিত হবে?

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ جَارِيَةً بِكْرًا أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ أَنَّ أَبَاهَا زَوَّجَهَا وَهِيَ كَارِهَةٌ، فَخَيَّرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক যুবতী এসে বললো, তার অসম্মতিতে তার পিতা তাকে বিয়ে দিয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এখতিয়ার প্রদান করলেন (সে বিয়ে রাখতেও পারে অথবা বিচ্ছেদ ঘটাতেও পারে)।(সুনানু আবি দাউদ-২০৯৬)

:
" الحرة البالغة العاقلة إذا زوجت نفسها من رجل أو وكلت رجلا بالتزويج فتزوجها أو زوجها فضولي فأجازت جاز في قول أبي حنيفة وزفر وأبي يوسف الأول سواء زوجت نفسها من كفء أو غير كفء بمهر وافر أو قاصر غير أنها إذا زوجت نفسها من غير كفء فللأولياء حق الاعتراض."
(بدائع الصنائع -کتاب النکاح، فصل ولاية الندب والاستحباب فی النکاح، 2/ 247)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ ছেলেকে বলেন, তার পিতামাতাকে আপনার বাড়ীতে বিয়ের জন্য প্রেরণ করতে। এবং আপনি আপনার কাজিন বা নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষ দ্বারা ঐ পুরুষের বাড়ীঘরের খোঁজখবর নেন। যদি সবকিছু ঠিকটাক না থাকে, তাহলে মাতাপিতার পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করার মনমানসিকতা তৈরী করুন। মাতাপিতা সর্বদা সন্তানেন ভালোর চিন্তাই করে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...