ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835
ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
হাজবেন্ড তার বউয়ের উপর বিরক্ত। বউ যদি বলে ভালো দেইখা আরেকটা বিয়ে কর গা। বউ যদি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে। আর ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত যে কোন কথা বলার সময় তালাকের চিন্তা মাথায় আসে। হাজবেন্ডকে বিয়ে করার কথা বলা কেনায়া শব্দ হবে না।।হাজবেন্ড একাধিক বিয়ে করতেই পারে।সুতরাং এভাবে বললে তালাক হবে না।
(২)
হাজবেন্ড যদি বলে আমি তুমার অনেক কিছু সহ্য করছি আর এখনো করতেছি।তখন বউ যদি বলে আর সহ্য করতে হবে না, প্রেশার নিতে হবে না। তখন হাসবেন্ড যদি বলে হুম করবো না।এগুলো কেনায়া শব্দ হবে না। এসব বলার সময় তালাকের চিন্তা আসলেও তালাক হবে না। বউ যদি অধিকার প্রাপ্ত থাকে, তবেও তালাক হবে না।
(৩)হাসবেন্ড ঐ কথা বলার সময় মনে এমন নিয়ত থাকতে হবে যে, অধিকার দিলাম ভবিষ্যতেও তালাক দিতে পারবে।