আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
365 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।হাসবেন্ড তার বউয়ের  উপর বিরক্ত। বউ যদি বলে ভালো দেইখা আরেকটা বিয়ে কর গা। বউ যদি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে। আর ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত যে কোন কথা বলার সময় তালাকের চিন্তা মাথায় আসে। হাসবেন্ড কে বিয়ে করার কথা বলা কি কেনায়া শব্দ।হাসবেন্ড তো একাধিক বিয়ে করতেই পারে।এভাবে বলাই কি তালাক হবে?বলার সময়  মাথায় তালাকের চিন্তা আসতে পারে।যেহেতু মাথায় যেকোন সময় এসব আসে।

২।হাসবেন্ড যদি বলে আমি তুমার অনেক কিছু সহ্য করছি আর এখনো করতেছি।তখন বউ যদি বলে আর সহ্য করতে হবে না প্রেশার নিতে হবে না। তখন হাসবেন্ড যদি বলে হুম করবো না।এগুলো কি কেনায়া শব্দ। এসব বলার সময় তালাকের চিন্তা আসলে কি তালাক হবে।বউ যদি অধিকার প্রাপ্ত থাকে

৩।গত এক প্রশ্নে বলা হইসিল ছাইড়া দিও দারা ভবিষ্যতের নিয়ত করলে ভবিষ্যতেও অধিকার পাবে।নিয়ত টা বুজতেছি না।হাসবেন্ড  অই কথা বলার সময়  মনে এমন নিয়ত থাকতে হবে যে অধিকার দিলাম ভবিষ্যতেও তালাক দিতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (588,720 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
হাজবেন্ড তার বউয়ের উপর বিরক্ত। বউ যদি বলে ভালো দেইখা আরেকটা বিয়ে কর গা। বউ যদি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে। আর ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত যে কোন কথা বলার সময় তালাকের চিন্তা মাথায় আসে। হাজবেন্ডকে বিয়ে করার কথা বলা কেনায়া শব্দ হবে না।।হাজবেন্ড একাধিক বিয়ে করতেই পারে।সুতরাং এভাবে বললে তালাক হবে না।

(২)
হাজবেন্ড যদি বলে আমি তুমার অনেক কিছু সহ্য করছি আর এখনো করতেছি।তখন বউ যদি বলে আর সহ্য করতে হবে না, প্রেশার নিতে হবে না। তখন হাসবেন্ড যদি বলে হুম করবো না।এগুলো কেনায়া শব্দ হবে না। এসব বলার সময় তালাকের চিন্তা আসলেও তালাক হবে না। বউ যদি অধিকার প্রাপ্ত থাকে, তবেও তালাক হবে না।

(৩)হাসবেন্ড ঐ কথা বলার সময় মনে এমন নিয়ত থাকতে হবে যে, অধিকার দিলাম ভবিষ্যতেও তালাক দিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। 
আলাদা প্রশ্ন করলাম না এখানে উত্তর দিয়েন।বউ যদি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে। একটা গানের লাইন আছে তুমি সুখ যদি নাহি পাও জাও সুখের ও সন্ধানে যাও।এই লাইন বলার সময় আনমনে তালাকের কথা মনে আইসা পরছে।মাথায় এই চিন্তা  হুট হাট আইসা পরে।আবার বলসি বাচ্চা নেওয়ায় ভুল হইছে তখন ও মনে অই চিন্তা আইসা পড়ছে।আমি এগুলা নিয়া অনেক সমস্যা ই আছি।আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি মনে হই।যেকোনো সময় এই চিন্তা হুট হাট আইসা পরে। এখন এগুলাতে কি তালাক হবে।

আর মাসালা জানার জন্য তালাকের কথা বইলা জিজ্ঞেস করলে কি কোন সমস্যা হবে? সে ঘটনা যদি ঘটে বা যদি না ঘটে।এমত অবস্থায় আগে তালাক না হইলে শুধু মাসালা জানার জন্য সরাসরি বইলা মাসালা নিলে কি কিছু হবে?
by (588,720 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
আমার কমেন্টের উত্তর ও কি তালাক হবে না। প্লিজ হুজুর সংক্ষেপে বইলেন হুজুর। খুব পেরেশানি তে আছি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...