আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (6 points)
আমি যেখানে চাকুরী করি এখান থেকে মসজিদ কিছুটা দূরে। তাই অফিসের অনেকেই মসজিদে নামাজ না পড়ে অফিসের নিচে নামাজের জায়গা আছে, সেখানে নামাজ আদায় করে। সেখানে আমি আর আরেকজন ভাই নামাজের ইমামতি করি (পারিশ্রমিক বিহীন) ।

(১) আমি ইমামতি করার কারণে আমার অন্তরে মাঝে মাঝে অহংকারের ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয়। সাথে সাথেই নিয়ত আবারও পরিবর্তন করি। এতে কি আমার কোনো গুনাহ হবে? আর এ থেকে উত্তরণের উপায় জানালে উপকৃত হব।

এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই হয় আমার। আমি অফিসে থাকাকালীন মাঝে মাঝেই মসজিদে নামাজ আদায় করি। এ ধরনের সমস্যায় আমার ইমামতি করা কি সঠিক হবে নাকি মসজিদে নামাজ আদায় করা ঠিক হবে? ( উল্লেখ্য আমি ইমামতি না করালে বাকিরা একাকী নামায আদায় করে)

(২) আমি ডাটা এন্ট্রি কোম্পানিতে চাকুরী করি। এখানে কাজের ভিত্তিতে টাকা দেয়া হয়,আলাদা কোনো টাকা দেয়া হয় না। এই ক্ষেত্রে অফিসের সময়সীমা এর থেকে কিছু সময় আগে চলে গেলে কি গুনাহের আওতায় পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কণ্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।”[সূরা লোকমান, আয়াত: ১৭-১৮]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আমর ইবনে শুয়াইব তার পিতা থেকে তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: “কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে ছোট ছোট পিপীলিকার ন্যায় মানুষের আকৃতিতে হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে। অপমান ও লাঞ্ছনা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে। তাদেরকে জাহান্নামের একটি জেলখানায় একত্রিত করা হবে, যার নাম হবে “বুলাস। আগুন তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঢেকে ফেলবে। জাহান্নামীদের শরীরের ঘাম তাদেরকে পান করতে বাধ্য করা হবে।”।[সুনানে তিরমিজি (২৪৯২), আলবানী সহিহ তিরমিজি গ্রন্থ (২০১৫) এ হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন]

আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন: সম্মান হচ্ছে- আল্লাহর পরনের কাপড়; আর অহংকার হচ্ছে- আল্লাহর চাদর। যে ব্যক্তি এটা নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করে আমি তাকে শাস্তি দেই।”[সহিহ মুসলিম (২৬২০)]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইমামতি করার কারণে আপনার অন্তরে যে মাঝে মাঝে অহংকারের ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয়। সাথে সাথেই নিয়ত আবারও পরিবর্তন করেন। এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
এথেকে উত্তরনের জন্য মাঝে মাঝে নামাজ পড়াবেননা।
মসজিদে গিয়ে পড়ে আসবেন।
বা সেখানে কোনো শুদ্ধ তিলাওয়াত কারীর পিছনে নামাজ আদায় করবেন।

অহংকার থেকে উত্তরণের উপায় 

★অহংকার প্রতিরোধ করার উপায় হল- নিজেকে অন্য দশজন মানুষের মত মনে করা। অন্যসব লোককে নিজের সমতুল্য মনে করা। 

★অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো- এটি মনে রাখা যে, অহংকারীকে কিয়ামতের দিন পিঁপড়ার ন্যায় ছোট করে হাশর করা হবে মানুষের পায়ের নীচে মাড়ানো হবে। অহংকারী মানুষের নিকট অপছন্দীয় যেমনিভাবে সে আল্লাহর নিকটও অপছন্দনীয়। মানুষ বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, সহজ, সরল মানুষকে ভালবাসে। আর কঠিন ও রুঢ় স্বভাবের মানুষকে ঘৃণা করে।

অন্তর থেকে অহংকারের মূলোৎপাটন করা। যখন আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করবে তখন তার মধ্যে বিনয় ও নম্রতা ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।

অহংকারের বস্তু নিয়ে চিন্তা করা যে এগুলো আদৌ কি আমার নিজের যোগ্যতা বলে অর্জিত?

দোয়া করা ও আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। 

বিনয় অবলম্বন করা।

অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো- অহংকারীর চিন্তাভাবনা করা সে যে পথ দিয়ে বের হয়েছে পেশাবও সে পথ দিয়ে বের হয়। তার সৃষ্টির সূচনা হয়েছে নাপাক বীর্য থেকে। তার সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে- পচা লাশ। এ দুই অবস্থার মাঝখানে সে পায়খানা বহন করে চলছে। সুতরাং অহংকার করার মত কী আছে?!!

(০২)
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অফিসের সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আগে যাওয়া যাবেনা।

হ্যাঁ, যদি তাদের পক্ষ থেকে আগে থেকেই এভাবে আগে যাওয়ার অনুমতি দেয়া থাকে,সেক্ষেত্রে যাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...