আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কণ্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।”[সূরা লোকমান, আয়াত: ১৭-১৮]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আমর ইবনে শুয়াইব তার পিতা থেকে তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: “কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে ছোট ছোট পিপীলিকার ন্যায় মানুষের আকৃতিতে হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে। অপমান ও লাঞ্ছনা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে। তাদেরকে জাহান্নামের একটি জেলখানায় একত্রিত করা হবে, যার নাম হবে “বুলাস। আগুন তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঢেকে ফেলবে। জাহান্নামীদের শরীরের ঘাম তাদেরকে পান করতে বাধ্য করা হবে।”।[সুনানে তিরমিজি (২৪৯২), আলবানী সহিহ তিরমিজি গ্রন্থ (২০১৫) এ হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন]
আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন: সম্মান হচ্ছে- আল্লাহর পরনের কাপড়; আর অহংকার হচ্ছে- আল্লাহর চাদর। যে ব্যক্তি এটা নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করে আমি তাকে শাস্তি দেই।”[সহিহ মুসলিম (২৬২০)]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইমামতি করার কারণে আপনার অন্তরে যে মাঝে মাঝে অহংকারের ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয়। সাথে সাথেই নিয়ত আবারও পরিবর্তন করেন। এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
এথেকে উত্তরনের জন্য মাঝে মাঝে নামাজ পড়াবেননা।
মসজিদে গিয়ে পড়ে আসবেন।
বা সেখানে কোনো শুদ্ধ তিলাওয়াত কারীর পিছনে নামাজ আদায় করবেন।
অহংকার থেকে উত্তরণের উপায়
★অহংকার প্রতিরোধ করার উপায় হল- নিজেকে অন্য দশজন মানুষের মত মনে করা। অন্যসব লোককে নিজের সমতুল্য মনে করা।
★অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো- এটি মনে রাখা যে, অহংকারীকে কিয়ামতের দিন পিঁপড়ার ন্যায় ছোট করে হাশর করা হবে মানুষের পায়ের নীচে মাড়ানো হবে। অহংকারী মানুষের নিকট অপছন্দীয় যেমনিভাবে সে আল্লাহর নিকটও অপছন্দনীয়। মানুষ বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, সহজ, সরল মানুষকে ভালবাসে। আর কঠিন ও রুঢ় স্বভাবের মানুষকে ঘৃণা করে।
অন্তর থেকে অহংকারের মূলোৎপাটন করা। যখন আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করবে তখন তার মধ্যে বিনয় ও নম্রতা ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
অহংকারের বস্তু নিয়ে চিন্তা করা যে এগুলো আদৌ কি আমার নিজের যোগ্যতা বলে অর্জিত?
দোয়া করা ও আল্লাহর সাহায্য চাওয়া।
বিনয় অবলম্বন করা।
অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো- অহংকারীর চিন্তাভাবনা করা সে যে পথ দিয়ে বের হয়েছে পেশাবও সে পথ দিয়ে বের হয়। তার সৃষ্টির সূচনা হয়েছে নাপাক বীর্য থেকে। তার সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে- পচা লাশ। এ দুই অবস্থার মাঝখানে সে পায়খানা বহন করে চলছে। সুতরাং অহংকার করার মত কী আছে?!!
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অফিসের সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আগে যাওয়া যাবেনা।
হ্যাঁ, যদি তাদের পক্ষ থেকে আগে থেকেই এভাবে আগে যাওয়ার অনুমতি দেয়া থাকে,সেক্ষেত্রে যাওয়া যাবে।