আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

১। আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব সুদ এর উপরে লোন নিয়েছেন, আগে জানতাম না এখন শুনেছি। লোন নেওয়ার পর থেকে তার পিছনে পড়া নামাজগুলো কি আবার পড়তে হবে? সব নামাজ তো তার পিছনে পড়িওনাই আর এটার অনুমান করাও সম্ভব না তো আবার পড়তে হলে কিভাবে পড়ব? আর লোন পরিশোধ হলে কি আবার তার পিছনে নামাজ পড়তে পারব? এটা ছাড়া মসজিদ কিছুটা দূরে।
২। গোপনে একাধিকবার গুনাহ করেছে কিন্তু আমি জানি এবং তার দ্বারা এরকম গুনাহ সামনেও হতে পারে এরকম লোকের পিছনে নামাজ পড়লে দোহরানো লাগবে?
৩। এমন কোনো কাজে সহায়তা করা যাবে যেখানে নিশ্চিত কিছু মানুষ তা থেকে উপকৃত হয়ে হারামে জড়াবে আবার অন্যদের ভালো কাজের জন্য উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে? আমার এক শিক্ষক BUP (University) এর প্রশ্ন টাইপ করে দিতে বলেছে উনি সেটার সল্ভ ক্লাস নিবেন। ছেলেদের সাথে মেয়েরাও এই ক্লাস থেকে উপকৃত হবে আর BUP তে নিকাব নিষিদ্ধ + সহশিক্ষা। যদিও এখান থেকে ইন্টারের যে কেউ উপকৃত হতে পারে কিন্তু ক্লাসটা মুলত BUP এর উদ্দেশ্যে নেওয়া।
৪। এই ছবি (Picture) কি প্রানির আকৃতির মধ্যে পরবে? গায়ে দিতে পারব? টি-শার্ট এটা।
৫। আমি মাকড়সা দেখলে ভয় পাই, আকারে বড় হলে রুমে থাকাই কস্টকর হয়ে যায়। মাকড়সা তাড়ায় দেওয়াও সহজ কাজ না, তাছাড়া অন্য রুমে গেলেও আবার চলে আসে। এক্ষেত্রে কি মেরে ফেলা যাবে?
৬। বাসার চারদিকে যেসব যায়গায় মশার উপদ্রব বেশি সেখানে কি অ্যারোসল ব্যবহার করা যাবে? এতে অন্য কিট-পতঙ্গের কষ্ট হতে পারে আবার তারা হয়তো মরবেও না পুরোপুরি।
(প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলেই হবে ইনশাআল্লহ।)

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেবের পিছনে নামাজ আদায় করা যাবে।
পূর্বে তার পিছনে আদায়কৃত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
লোন পরিশোধের আগেও তার পিছনে নামাজ পড়া যাবে,লোন পরিশোধের পরেও তার পিছনে নামাজ পড়া যাবে।

(০২)
এরকম লোকের পিছনে নামাজ পড়লে দোহরানো লাগবেনা। নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

(০৩)
আপনাকে আপনার এক শিক্ষক BUP (University) এর প্রশ্ন টাইপ করে দিতে বলেছে, উনি সেটার সল্ভ ক্লাস নিবেন। 
এক্ষেত্রে আপনার জন্য প্রশ্ন টাইপ করে দেয়া জায়েজ আছে।
আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

(০৪)
প্রানীর এমন ছবি যেখানে মাথা,চেহারা থাকে,সেটি নিষেধ।
প্রানীর ছবিতে যদি এমন কাজ করা হয়,যাতে সেটি প্রান বিশিষ্ট প্রানীর ছবি মতো মনে না হয়,মাথা কেটে ফেলা হয়,বা চেহারা প্রস্ফুটিত হয়না,
তাহলে সেটির উপর ছবির বিধান আরোপ হবেনা।
কিন্তু যদি জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা বুঝা যায়,তাহলে তাহলে সেটি হারাম ছবির অন্তর্ভুক্ত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই।
সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।

মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে।

যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
হ্যাঁ, এটি প্রানির আকৃতির মধ্যে পরবে। সুতরাং এই টি-শার্ট এভাবে গায়ে দিতে পারবেননা।

হ্যাঁ যদি এটি শরীরে গায়ে দেয়ার পর উপরে অন্য জামা পরিধান করা হয়,যাতে টি-শার্টটি দেখা যায়না বা ছবিটি দেখা যায়না,বা ছবির মাথা মুছে ফেলেন,সেক্ষেত্রে এই টি-শার্ট পরিধান করতে পারবেন।

(০৫)
এক্ষেত্রে ঝেড়ে ফেলাই শ্রেয়।
আপনার জন্য খুবই কষ্টকর হলে বা ক্ষতিকর হলে মেরে ফেলতে পারবেন।

তবে মেরে না ফেলে এর জন্য বিকল্প রাস্তা গ্রহণ করা যেতে পারে।বিশেষ করে এমন পরিবেশ তৈরী করাই শ্রেয়, যা মাকড়সা জন্মের প্রতিবন্ধক হয়।

(০৬)
বাসার চারদিকে যেসব যায়গায় মশার উপদ্রব বেশি,মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সেখানে অ্যারোসল ব্যবহার করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...