ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মুর্তি হারাম ও নাজায়েয।সুতরাং মুর্তিকে ঘৃনা করাই ঈমানের অংশ।যদি কেউ মুর্তিকে মনেপ্রাণে ভালবাসে এবং এইসব মুর্তির ইবাদত করতে তার মন চায়,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।কিন্তু যদি কেউ মনেপ্রাণে মুর্তিকে হারাম জানে,তবে মুর্তিকে হারাম মানার পরও সে মুর্তিকে মহব্বত করে থাকে,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে না,তবে তার ঈমান যে শূনো অবস্থান করছে,তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনোঅন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম শরীফ,৭৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুর্তিকে মহব্বত করা যদি সুন্দর্য্য ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে,তবে মনেপ্রাণে মুর্তি হারাম হওয়ার কথা বিদ্যমান থাকে,তার ঈমান চলে যাবে না।বরং তার ঈমান বাকী থাকবে।
কিন্তু কেউ যদি মুর্তির হারাম হওয়ার কথাকে অস্বীকার করে নেয়,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।কেননা হালালকে হারাম করা এবং হারামকে হালাল করাতে ঈমান চলে যায়।