আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
এক বোনের অনেকদিন যাবৎ বাসায় বিয়ের আলাপ হচ্ছে, সে দ্বীনের ব্যাপারে মাশাআল্লাহ অনেক বেশি সিনসিয়ার। তাই সহজে কোনো সম্বন্ধ তার পছন্দ হয় না। আবার দ্বীনের দিক থেকে যেগুলো পছন্দনীয় মনে হয়, তার সম্মতি পেয়ে যখন ই বিয়ের ব্যাপারে এগুতে যায়, ওই পর্যায়ে দেখা যায় যে আর খবর থাকে না, অর্থাৎ বিয়েটা আর আগায় ই না।
পরিচিত একজন হুজুরকে জানালে তিনি জানান, ওর উপরি আছর ( বদনজর) এর সমস্যা আছে।
তাই ওই হুজুর বলছিলেন, রুকাইয়া করতে। সেক্ষেত্রে তিনি তাকে তাবিজ, কিছু আমল এবং প্লেটে জাফরান কালি না কি যেনো একটা দিয়ে আরবী কিছু লিখে দিবেন, সেটা ধুয়ে পানি খেতে বললো, আর ঘরে আরবী লিখা কি একটা দিবেন ঝুলিয়ে রাখা লাগবে।
প্রশ্ন ছিলো,
তাবিজ শরীরে লাগানো বা ঘরে ঝোলানো কি শিরক বা, নাজায়েজ? যদি এতে কুরআনের আয়াত লিখা থাকে?
প্লেটে যে লিখে দিবেন, ওটা ধুয়ে পানি খাওয়া, এ ব্যাপারে শরিয়ই মাসআলা জানতে চাচ্ছিলাম?
কেও বলেন যে কুফরী কালাম না হলে কুরআনের আয়াত হলে তাবিজ লাগানো জায়েজ, এতে গুনাহ্ হবে না, কতটুকু সঠিক?
আর, হুজুর বিশ্বস্ত হলেও, উনি আসলেই কুরআনের আয়াত লিখলো নাকি, কোনো প্রকার কুফরী কালাম লিখে দিলেন, সেটা আমরা বুঝবো কি করে??
একটু দ্রুত উত্তর দিলে মুনাসিব হয় ইং শা আল্লাহ্!!
জাযাকাল্লাহ!