আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এক বোনের অনেকদিন যাবৎ বাসায় বিয়ের আলাপ হচ্ছে, সে দ্বীনের ব্যাপারে মাশাআল্লাহ অনেক বেশি সিনসিয়ার। তাই সহজে কোনো সম্বন্ধ তার পছন্দ হয় না। আবার দ্বীনের দিক থেকে যেগুলো পছন্দনীয় মনে হয়, তার সম্মতি পেয়ে যখন ই বিয়ের ব্যাপারে এগুতে যায়, ওই পর্যায়ে দেখা যায় যে আর খবর থাকে না, অর্থাৎ বিয়েটা আর আগায় ই না।

পরিচিত একজন হুজুরকে জানালে তিনি জানান, ওর উপরি আছর ( বদনজর) এর সমস্যা আছে।

তাই ওই হুজুর বলছিলেন, রুকাইয়া করতে। সেক্ষেত্রে তিনি তাকে তাবিজ, কিছু আমল এবং প্লেটে জাফরান কালি না কি যেনো একটা দিয়ে আরবী কিছু লিখে দিবেন, সেটা ধুয়ে পানি খেতে বললো, আর ঘরে আরবী লিখা কি একটা দিবেন ঝুলিয়ে রাখা লাগবে।

প্রশ্ন ছিলো,

তাবিজ শরীরে লাগানো বা ঘরে ঝোলানো কি শিরক বা, নাজায়েজ? যদি এতে কুরআনের আয়াত লিখা থাকে?

প্লেটে যে লিখে দিবেন, ওটা ধুয়ে পানি খাওয়া, এ ব্যাপারে শরিয়ই মাসআলা জানতে চাচ্ছিলাম?

 কেও বলেন যে কুফরী কালাম না হলে কুরআনের আয়াত হলে তাবিজ লাগানো জায়েজ, এতে গুনাহ্ হবে না, কতটুকু সঠিক?

আর, হুজুর বিশ্বস্ত হলেও, উনি আসলেই কুরআনের আয়াত লিখলো নাকি, কোনো প্রকার কুফরী কালাম লিখে দিলেন, সেটা আমরা বুঝবো কি করে??

একটু দ্রুত উত্তর দিলে মুনাসিব হয় ইং শা আল্লাহ্!!

জাযাকাল্লাহ!

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে এবং তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হলে সেই তাবিজ ব্যবহার জায়েজ।
.
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনকে যেই তাবিজ দেয়া হয়েছে,ও প্লেটে জাফরানের কালি যাহা লিখে দেয়া হয়েছে,তাহা যদি  কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক হয়,সেক্ষেত্রে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করে উক্ত তাবিজ ব্যবহার জায়েজ হবে।

এক্ষেত্রে আরবি কালাম নিজে বুঝতে বা পারলে যারা বুঝে তাদেরকে দেখাতে হবে।
নতুবা সেই হুজুরকেই বলতে হবে যে এখানে কি লেখা আছে।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...