আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
573 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

আমার একটা বান্ধবী আমাকে বলছে:

১) মেয়েদের জন্য কড়া পারফিউম ব্যবহার করা হারাম। কিন্তু কেউ যদি ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য হালকা ঘ্রাণ যুক্ত পারফিউম ব্যবহার করে তাহলে পাপ হবে না।এমনকি কোনো ছেলে তার ঘ্রাণ পেলেও না।

২)মেয়েদের জন্য নেইলপলিশ লাগানো নাকি হারাম না
৩)মেয়েদের জন্য নাকি শুধু হিজাব ফরজ নিকাব না। শুধু চুল ঢাকলেই পর্দা হয়ে যাবে। মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক না। এমনকি আমার চেহারা কোনো ছেলে দেখলেও তার ভালো না লাগলে আমার পাপ হবে না।

৪)মেয়েদের নখ বড় রাখা হারাম না মাকরুহ?

তাকে আমি কী উত্তর দিব জানাবেন।

জাযাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের জন্য পর পুরুষদের নিকট/সামনে পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
(((أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَة))ٌ
“যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে লোকজনের নিকট দিয়ে গমন করার ফলে তারা তার ঘ্রাণ পেল সে মহিলা ব্যভিচারিণী।” (নাসাঈঃ হাদীস নং ৫০৩৬) কেননা, নারী দেহের সুগন্ধ পরপুরুষকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে বা যৌনতার দিকে আহ্বান করে। তবে স্বামী, মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হারাম) এবং মহিলা অঙ্গণে তা ব্যবহারে কোন দোষ নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু সুগন্ধি মহিলাকে গোনাহের দিকে নিয়ে যেতে পারে,বা পরপুরুষকে ফিতনায় ফেলে দিতে পারে।সুতরাং মহিলা এমন সুগন্ধি ব্যবহার করে বাহিরে যেতে পারবে না,যা পুরুষকে আকৃষ্ট করতে পারে।হ্যা ঘামের দুর্গন্ধকে দূর করার জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে,তবে শর্ত হল,এমন সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে,যা নিজ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।হ্যা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যদি বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকে,তাহলে সামান্য পরিমাণ সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে,চায় সেই সুগন্ধির কিছুটা পুরপুরুষ পর্যন্ত পৌছে যাক না কেন?তবে শর্ত হল যে,ফিতনামুক্ত পরিবেশ হতে হবে। এবং ফিতনার কোনো আশংকা থাকতে পারবে না।

(২)
নেইল পালিশে হারাম কোনো জিনিষের সংমিশ্রণ না থাকলে,সেই নেইল মূলত পালিশ মূলত হারাম নয়।তবে নেইল পালিশ যেহেতু অজুতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে,তাই নেইল পালিশ ব্যবহার ফরযের প্রতিবন্ধক। যে কাজ কোনো ফরয বিধানে বাধা সৃষ্টি করবে,সেই কাজ কখনো অনুমোদিত হতে পারে না।(যেব ও যিনিত কে শরয়ী আহকাম-১১৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং নেইল পালিশ ব্যবহার জায়েয হবে না।নেইল পালিশ নাজায়েয।

(৩)
বিশেষ কোনো অসুবিধে এবং বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতীত সর্বদাই নিকাব পরিধান করা ফরয।মুখকে ঢেকে রাখতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-৫৭২

(৪)
ছেলে হোক বা মেয়ে হোক এমন পরিমাণ নক রাখা যা ফরয বিধান পালনে বাধা সৃষ্টি করে থাকে,এটা হারাম হবে।আর ফরয বিধান পালনে বাধা সৃষ্টি না করলে,লম্বা করে নক রাখা মাকরুহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...