আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in সালাত(Prayer) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

নিচের প্রশ্নটি ছেলেদের চুলের কথা বলেছি।আপ্নারা হয়ত বুঝতে ভুল করেছেন।পূর্বের প্রশ্নে

১, আমি ছেলে, আমি নামাজ পড়ছিলাম,কিছু লোক আমার দিকে তাকিয়ে ছিল,আমি বুঝতে পারসিলাম,নামাজের আগে আমার চুল ইচ্ছা করে এলোমেলো করে রেখেছিলাম,দেখতে উদ্ভট লাগতেসিলো।বড় চুল। যখন বুঝি লোকেরা তাকাই আছে তখন এক হাত দিয়ে চুল টা কপাল থেকে সরাই দেই।যাতে উদ্ভট না লাগে।এতে কি নামাজ নষ্ট হবে?

২ নামাজে হাতা গুটানো ছিল।ত এভাবে নামাজ পড়া ফাসিদ হয় বা মাকরুহ।যখন খেয়াল হয় তখন কিরাত পড়ছিলাম,তাই রুকুতে যেতে যেতে এক হাতা গুটানো খুলি।উঠতে উঠতে আরেকটা।তখম মনে হল এভাবে হাতা গুটানো খোলা দেখলে কেউ ভাবতে পারে নামাজে আছি কিনা।তাই এটা আমলে কাসীর হল কিনা।

পূর্বে একবার এরকম একটা কেসে বলেছিলেন এতে সমস্যা নাই নামাজ হবে।আমি স্পেসিফিক ভাবে এই কেসে নামাজ নষ্ট হবে কিনা জানতে চাচ্ছি

৩,রুকুতে তাসবীহ পড়তে যেয়ে অনেক সময় 'আযীম' শব্দে আ তে এক আলিফ /হাফ আলিফ টান পড়তেছে।আবার ইখলাস সুরাতে শেষ আয়াতে আহাদ শব্দে,আঈন যবর আ তে এক/হাফ আলিফ টান পড়ে গেলে কি নামাজ নষ্ট হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


নামাজের ভিতর নড়াচড়া করা যাবেনা।
এক রুকন সমপরিমাণ এমনটি করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ    
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) ওপর সিজদা করে এবং নামাজে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ: ২/১৪

নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৭৩২২

প্রখ্যাত তাবেয়ি আমাশ (রহ.) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তাকে দেখে মনে হত যেন একটি পড়ে থাকা কাপড়। -মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৩৩০৩।

আমলে কাসির নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনি যদি এক হাত দিয়ে চুল টা কপাল থেকে সড়িয়ে দেন,আর তাতে যদি এক রুকন (তিনবার  সুবহানা রব্বিয়াল আযিম বলা )সমপরিমাণ সময় থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এটি আমলে কলিল হওয়ার কারনে নামাজ মাকরুহ হবে।  

(০২)
এক্ষেত্রে যদি এক রুকন (তিনবার  সুবহানা রব্বিয়াল আযিম বলা )সমপরিমাণ সময় থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এটি আমলে কলিল হওয়ার কারনে নামাজ মাকরুহ হবে।  

(০৩)
রুকুতে তাসবীহ পড়তে যেয়ে 'আযীম' শব্দে আ তে এক আলিফ /হাফ আলিফ টান পড়লে নামাজ ফাসেদ হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।

সুরা ইখলাস এর শেষ আয়াতে আহাদ শব্দে,আঈন যবর আ তে এক/হাফ আলিফ টান পড়ে গেলে নামাজ নষ্ট হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 602 views
...