কুরআনে কারীমে কাফির অধিবাসীদেরও নবীর ভাই বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
وَإِلَىٰ عَادٍ أَخَاهُمْ هُودًا ۗ [٧:٦٥
আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। [সূরা আরাফ-৬৫]
এখানে আদ সম্প্রদায়ের কাফেরদেরকে নবী সালেহ আলাইহিস সালামের ভাই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আদ গোত্রের সবাই হুদ আলাইহিস সালামের বংশীয় ভাই ছিলেন না। তারপরও তাদের ভাই বলা হয়েছে।
এছাড়া অন্যত্র এসেছে-
وَإِلَىٰ ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا ۗ [٧:٧٣
সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। [সূরা আরাফ-৭৩]
এখানে কাফির সামুদ সম্প্রদায়কে নবী সালেহের ভাই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তারা কাফির এবং সবাই নবীর বংশীয় ভাই নয়।
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, তাদের পিতার সন্তান। কেউ বলেছেন এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, গোত্রীয় ভাই। কেউ বলেছেন পিতা আদমের সন্তান হিসেবে ভাই। [তাফসীরে কুরতুবী-৭/২৩৫, দারুল কুতুব মিশর]
এসব আয়াত দ্বারা একথাই প্রতীয়মান হয় যে, হযরত আদম আলাইহিস সালামের সন্তান হিসেবে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ আমরা পরস্পর ভাই।
কিন্তু এ ভাইয়ের সম্পর্ক মুসলমান পরস্পর ভাইয়ের মত গভীর নয়। মানুষ হিসেবে পরস্পর একটি ন্যুনতম সম্পর্ক মাত্র।
তা’ই কোন অমুসলিমকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার নিয়তে, আকাংখায় তাকে ভাই বলে সম্বোধন করাতে সমস্যা নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অমুসলিমদের মাঝে প্রচলিত ও ব্যবহৃত শব্দসমূহে যদি ধর্মীয় কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা শিরক মিশ্রিত না থাকে, তাহলে সেসব শব্দে তাদের সম্বোধন করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
উপরোক্ত বিবরণ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে হিন্দুদের ভাই বলে সম্বোধন করাতে সমস্যা নেই।
আর হিন্দু সমাজে যেহেতু ভাইকে দাদা বলে সম্বোধন করা হয়। এক্ষেত্রে ধর্মীয় কোনো কিছু কিংবা শিরকের কোনো ব্যাপার নেই। তাই হিন্দুদের দাদা বলে সম্বোধন করাতে কোনো সমস্যা নেই।