আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in সালাত(Prayer) by (30 points)

আসসালামু'আলাইকুম,

দুই সাজদার মাঝখানে দুই পা কে খাড়া রেখে গোড়ালির উপর বসা কি হানাফি ফিকহ অনুযায়ী সঠিক?


আবূ যুবায়ের থেকে বর্ণিতঃ

 

তিনি ত্বাউসকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন, আমরা ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে দু’পায়ের উপর ইক্কআ’র নিয়মে বসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এটা সুন্নত। আমরা তাঁকে বললাম, এতে তো পায়ের প্রতি যুলুম করা হয়। তখন ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, বরং এটা তোমার নবীর সুন্নত। (মুসলিম ৫৩৬)

 

ফুটনোটঃ

*ইক্কআ হল, দু’পাকে খাড়া রেখে গোড়ালির উপর বসা। আর এটা হয় দুই সাজদার মধ্যের বৈঠকে। 

 

১০০ সুসাব্যস্ত হাদিস, হাদিস নং ১৮

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হযরত আয়েশা রা. বলেন,

كَانَ )رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-( يَقُولُ فِى كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ وَكَانَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى. أخرجه مسلم في باب صفة الصلاة (٤٩٨) وابن أبي شيبة، (٢٩٤٣)

অর্থ: তিনি ( রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক দুই রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়তেন। এবং বাম পা বিছিয়ে দিতেন ও ডান পা খাড়া রাখতেন। [মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ২৯৪৩; আবু দাউদ তায়ালিসী, হাদীস নং ১৬৫১, আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৩০৫০; মুসনাদে ইসহাক, হাদীস নং ১৩৩১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২৪০৩০, ইবনে মাজাহ,হাদীস নং ৮৯৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৮৩; আবু আওয়ানা, হাদীস নং ২০০৪]

হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. বলেন,

قدمت المدينة قلت لأنظرن إلى صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما جلس يعني للتشهد افترش رجله اليسرى ووضع يده اليسرى يعني على فخذه اليسرى ونصب رجله اليمنى. أخرجه الترمذي(٢٩٢ )وقال حسن صحيح وابن أبي شيبة، (٢٩٤٢).

অর্থ: আমি মদীনা আসলাম, আর (মনে মনে) বললাম, আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায দেখবো। (তিনি বলেন), যখন তিনি বৈঠক করলেন, অর্থাৎ তাশাহহুদের জন্য তখন তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিলেন, এবং তাঁর বাম হাত বাম উরুর উপর রাখলেন। আর ডান পা খাড়া রাখলেন। [তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং ২৯২; তিনি বলেছেন, এটি হাসান সহীহ। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ২৯৪২; নাসাঈ, হাদীস নং ১১৫৯; সুনানে দারিমী, ১/৩১৪, মুসনাদে আহমদ, ৪/৩১৮, তাহাবী ১/১৫২; বায়হাকী, ২/১৩২]

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেছেন,

إنما سنة الصلاة أن تنصب رجلك اليمنى وتثنى اليسرى. أخرجه البخاري(٨٢٧) والنسائي(١١٥٧-١١٥٨) وابن أبي شيبة (٢٩٤٤).

অর্থ: নামাযে সুন্নত হলো ডান পা খাড়া রাখবে এবং বাম পা বিছিয়ে দেবে। বুখারী শরীফ, হাদীস নং ৮২৭; নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং ১১৫৭, ১১৫৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ২৯৪৪।

নাসায়ী শরীফে বাম পায়ের উপর বসার কথাও বর্ণিত হয়েছে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বায় হযরত কা’ব রা., হযরত আলী রা., মুহাম্মদ ইবনে সীরীন র. ও ইবরাহীম নাখায়ী র. প্রমুখের আমলও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

এসব হাদীস দ্বারা একথা সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, আখেরী বৈঠক ও প্রথম বৈঠকে বসার সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি হল, ডান পা খাড়া করে বাম বা বিছিয়ে তার উপর বসা।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট যে, হানাফী মাযহাব মতে তাশাহহুদে বসার সুন্নাত পদ্ধতি হলো, নামাযের ১ম ও শেষ বৈঠকে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও ডান পা খাড়া রাখা। তবে প্রশ্নোক্ত হাদিসের আরবী ইবারত কমেন্টে দিলে উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 225 views
0 votes
1 answer 285 views
...