আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১। অনেক সময় নতুন জুতা কিনে পড়লে পা ছিলে যায় অথবা ঘরে বা বাইরে দেয়াল বা অন্য কিছুর সাথে ঘষা বা খোচা লেগে ছিলে যায়। এমন অবস্থায় সেই স্থান থেকে এক ধরনের পানির মত বের হয়। সেগুলো কি নাপাক?

১.১। ধষা বা খোচা খাওয়ার পর সেখান থেকে কিছু সময় পর পর পানির মত তরল বের হয়। একবার মুছলে আবার বের হয়। পরিমানে অনেক কম হলেও একটু পর পর বের হতে থাকে। অনেক সময় এক দিন লেগে যায় এই পানির মত তরল বের হওয়া বন্ধ হতে। এমন অবস্থায় করনীয় কি?

১.২।এমন অবস্থায় কি ওযু করার সময় ব্যান্ডেজ খুলবো আবার ওযু শেষে লাগিয়ে রাখবো?

১.৩। নাকি একবারে ব্যান্ডেজ লাগিয়েই পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ পড়বো? (যতক্ষণ না সেই তরল পদার্থ বের হওয়া থেমে যায়)

★★এভাবে চলা তো অনেক কষ্টকর। কারণ এর ফলে আমি যখন অজু করবো তখন আমার শরীরের যেখানে তরল পদার্থ আছে সেই জায়গা ওজুর পানি দিয়ে ধোয়ার ফলে সেই তরল পদার্থ মিশ্রিত পানি ওযুর খানার ফ্লোরে পড়বে। এখন নামাজ পড়ার সময় তো অনেক মানুষ সেখানে থাকে তো বারবার তো ওযু খানা ধোয়া সম্ভাবনা।

১.৪। তাহলে তো আমার শরীর থেকে পানির মতো তরল পদার্থ ওযু করার ফলে ওযু মিশ্রিত পানি ওযু খানায় পড়বে এবং কেউ সেটি পারা দিলেও তো তার পা নাপাক হয়ে যাবে এবং সে সেই পা নিয়ে মসজিদে ঢুকলেও তো মসজিদ নাপাক হয়ে যাবে। তাহলে কি করবো?


★★আশা করি সম্পূর্ণ বক্তব্যটি পড়বেনঃ

ক্রিপ্টো কারেন্সির একটি অপশন আছে যেখানে স্পট ট্রেডিং বলা হয়। সেইখানে আপনি আপনার ব্যাংক থেকে একটি অ্যাপে টাকা ঢুকাবেন এবং সেই টাকা দিয়ে যেকোনো একটি ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনবেন এবং তারপর সেই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম  কমলে অথবা বাড়লে সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি টি বিক্রি করবেন। এবং তারপর সেই সেই ক্রিপ্টো কারেন্সি বিকৃত লাভের টাকা আবার ব্যাংকে নিয়ে নিবেন।

২। অর্থাৎ আপনি তো প্রথমে আপনার নিজের ব্যাংকের টাকা দিয়েই সেই ক্রিপ্টোকারেন্সিটি কিনলেন। এরপর সেই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কমলে বা বাড়লে সেটি বিক্রি করলেন। তাহলে কি সেই স্পট ট্রেডিং উপায়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি বিকৃত লাভের টাকা হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج) 
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2142


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীরের কোনো অংশ থেকে চামড়া উঠে গিয়ে পানি নির্গত হলে সেই পানি যদি নিজ স্থানকে ত্যাগ করে ফেলে,তাহলে সেই পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। 

যদি ধারাবারিক নির্গত হতেই থাকে, তাহলে ব্যান্ডেজ দিয়ে তারপর অজু করে নামায পড়তে হবে। যদি এরপরও নির্গত হয়, ব্যান্ডেজ ভিজে যায়, তাহলে তখন প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নিতে হবে।

(২)
বিটকয়েন জাতীয় সকল প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি সম্পর্কে উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল,এ জতীয় কারেন্সিরর ক্রয়-বিক্রয় লেনদেন সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1710


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...