ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পর্দার ক্ষেত্রে ক্লাস বিবেচ্য নয়। বরং এক্ষেত্রে বিবেচ্য হল ফিতনার আশংকা না থাকা। যেহেতু সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যেই ফিতনা সংগঠিত হয়ে থাকে।তাই শরীয়ত বালিগ ও বালিগা পুরুষ-নারীর জন্য পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।যেহেতু ফিতনাই মূল বিবেচ্য বিষয়,তাই মুরাহিক/মুরাহিকা তথা এমন বালক/বালিকা যে,এখনও বালিগ হয়নি,তার সামনেও পর্দা করা ফরয হয়ে যায়।পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572
যেহেতু শিক্ষা শরীয়তের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চায় দ্বীনী শিক্ষা হোক বা জেনারেল শিক্ষা হোক, তাই শিক্ষার জন্য শরীয়ত অপরাগতায় অনেক কঠিন বিধানে কিছুটা শীতিলতা নিয়ে আসে। শিক্ষার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐসব ছাত্রীকে পড়াতে পারবেন,যদি তারা নাবালক হয়,এবং ফিতনার আশংকা না থাকে।হ্যা, মুরাহিকা তথা বালেগ হওয়ার নিকটবর্তী ছাত্রীদেরকেও পড়াতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা এবং উত্তম হচ্ছে, এরকম কয়েকজন কে একসাথে পড়াবেন।এবং তাদের সবাইকে হিজাব পড়ার নির্দেশ দিবেন। এবং কখনো নির্জনে কোনো মুরাহিকা ছাত্রীর সাথে কথা বলবেন না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
আজনবী পুরুষ-মহিলার মাহরাম ব্যতীত পরস্পর খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212'
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি শরীয়তের বিধানাবলীকে মেনে থাকেন, সহশিক্ষার সাথে রসালাপে লিপ্ত না হন, এবং ছাত্রীদের সবাই ইসলামি শিক্ষা দেন,এবং সদা দৃষ্টিকে অবনত রাখেন, তাহলে আপনি ইমামতি করাতে পারেবেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না।