জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সন্তান জন্মের পর আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْهُ فَلْيَنْسُكْ ، عَنْ الْغُلامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ ، وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ )
যদি কারো সন্তান জন্ম নেয় এবং সে যদি পছন্দ করে আকিকা দিতে,তাহলে সে যেন বরাবর দুটি ছাগল দ্বারা ছেলের আকিকা করে।এবং একটি ছাগল দ্বারা মেয়ের আকিকা করে।
(সুনানু আবু-দাউদ-২৮৪২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)
বালেগ হওয়ার পর আকিকা করা যাবে তবে মৃত্যুর পর আর আকিকা করা যাবে না। কেননা আকিকা করা হয় বালা মসিবতকে দূর করার জন্যে।আর মূত্যুর পর তো পৃথিবীর কোনো বালা মসিবত আর আসবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া;৭/৫৬৬)
আকীকা করা সুন্নাত,এর দ্বারা বাচ্চার বালা মুছিবত দূর হয়
সুন্নাত হলো বাচ্চার জন্মের সপ্তম দিন আকীকা করবে,নাম রাখবে,মাথা মুন্ডাবে,চুল ওযন করে সেই পরিমান রুপা সদকাহ করবে।
বয়স্ক ব্যাক্তিদের আকীকা করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৪/৩৪০)
আরো জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী চাইলে আপনার আগের সংসারের সেই ছেলের আকীকা দিতে পারবেন।
,
তবে এটি আবশ্যকীয় নয়।
,
আকীকা না দেওয়া হলেও আপনার বা আপনার এই স্বামীর কোনো গুনাহ হবেনা।
এক্ষেত্রে মুহাব্বতের তাকীদে নিজ ছেলে হিসেবে পরিচয় দিলেও ছেলেটির জন্ম সনদ, ভোটার আইডি কার্ড,সার্টিফিকেট ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে সেই ছহেলেটির আসল বাবার নামই উল্লেখ করতে হবে।