আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,512 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)

আসসালামুয়ালাইকুম।

আমার বাবা কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। আমাদের পরিবারে এখন আমরা দুইবোন। আমি বড়(চাকুরী করি), ছোটবোন এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী। আর আমাদের বড় ভাই আছেন, তিনি বিবাহিত, তার আলাদা পরিবার রয়েছে।

আমার বাবা মারা যাওয়ার সময় কিছু(ভাল অঙ্কের) টাকা রেখে গেছেন। আমার মা আগে কখনো টাকা পয়সা বিষয়ে হ্যান্ডেল করেন নাই। এখন এই টাকাগুলো কি করা যায় এ ব্যাপারে পরামর্শ দরকার। আশেপাশের অনেকে আমার মাকে বলছেন টাকাগুলো ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোসিটে রাখতে এবং এই কথাগুলো দ্বারা আমার মা প্রভাবিত হচ্ছেন। অনেকে বলছেন ব্যাংকে টাকাগুলো রেখে সুদগুলো সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে। আবার কেউ কেউ বলছেন ইসলামী ব্যাংকে টাকাগুলো রাখতে।

আমরা এমতবস্থায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। টাকাগুলোর সিকিউরিটি, এস্তেমাল সম্পর্কে পরামর্শ দিলে আমাদের খুব উপকার হতো।

 
 

 

 

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান সূদ প্রদান করা,খাওয়া কোনোটিই জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তাই সূদি ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েজ নেই।   
তবে যেহেতু বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকি ব্যাংকগুলো আমভাবে সুদী কারবার করে থাকে। শরয়ী বিধানের কোন তোয়াক্কাই করে না। 

সেই হিসেবে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরয়ী বিধান পালনের কিছুটা হলেও চেষ্টা করে থাকে। যদিও পূর্ণাঙ্গ শরয়ী রুলস তারাও অনুসরণ করে না বলেই আমরা জানি। কিন্তুর মন্দের ভাল অবশ্যই। তাই অন্য ব্যাংকে একাউন্ট খোলার তুলনায় ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা নিরাপদ বলেই মনে হয়। বাকি আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।

আর যদি কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হলে ডিপোজিট ও দীর্ঘমেয়াদী একাউন্টও জায়েজ আছে। তবে তার মুনাফাটি  সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢:١٧٣

অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা-১৭৩)

বিস্তারিত জানুনঃ   
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা ইসলামী ব্যাংক টাকা রাখতে পারবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
পায়খানা খাওয়া হারাম। সেটা সর্বক্ষেত্রেই হারাম। হোক সেটা আলেমের কিংবা আমজনতার। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...