১. অনেক সময় মনে বিভিন্ন কথা চলে আসে যা সরাসরি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। হাদীস অনুযায়ী জানা আছে মনে মনে এভাবে কুফর হয় না। কিন্তু তার পরেও যদি মনে অশান্তি লাগে যে এতেও কুফর হলো কি না, এবং মনের অশান্তি দূরীকরণে যদি কলিমা শাহাদাত পাঠ করি,এই নিয়তে যে ইমানে সমস্যা হলে যেনো ঠিল হয়ে যায়৷ এতে কি হাদীসের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ পায়? বা এভাবে কি কলিমা শহাদত পাঠ করতে পারি?না কি কোনো সমস্যা আছে?
২. কিছু দিন পূর্বে, একজন কোরআনকে একটি বই বলে সম্ভোদন করে তখন কারো মনে মনে ভাবনা আসে যে, কোরআন তো কিতাব না আল্লাহর কালাম,কিন্তু পরে মনে পরে কোরআনেই তো আল্লাহ কোরআনকে কিতাব বলে সম্ভোদন করেছেন, এর ফলে কি ইমানে সমস্যা হবে?
৩. আল্লাহর সিফত কি আল্লাহর অংশ?
৪. "কেও যদি বলো কোরআনের কেনে ক্ষমতা নাই,ক্ষমতা সব আল্লাহর" এই কথা কি সম্পূর্ণ ঠিক আছে? না কি এতে কোনো ভাবে কোরআন যে আল্লাহর সিফত তা অস্বীকার করা হয় না এমন কিছু?
৫.কেও যদি বলে এ কি রকম কালারের পাঞ্জাবি পরে সব মেয়েরার কামিজের মতো লাগে, এতে কি সুন্নত অপমানের জন্য তার গুনাহ বা ইমানে সমস্যা হবে?
৬. তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি তার স্বামীকে, "তালাক" এইটুক বলে তবে কি তালাক হয়ে যায়? না কি নিজের দিকে নিসবত না করায় তা স্বাব্যস্ত হবে না?
৭. বউ যদি বলে, "কিছু কিছু মানুষ তাদের এক জামাইর সাথে থাকে আর দিয়ে দেয় বলে দেয় ডিভোর্স," আবার কিছু সময় পর মজা করে করে বলে," আমাকে তোমার পছন্দ হয় না, না? তাইলে আমি বলে দেই সেই শব্দ গুলো?" স্বামী হেসে চুপ থাকে। ( তালা* নেওয়া ইঙ্গিত করছে) এই কথা গুলোর দরূন কি বিবাহে সমস্যা হবে?
৮. আজকে বিদেশে অনেকে জুমার নামাজ পরতে পারে না, এটা মাথায় আসার পরে কেও যদি ভাবে জুমার নামাজ তো ফরজ না, জোহর ফরজ, এটা আসল ( আসলে সব জায়গয় তো জুমা পরা যায় না,কিন্তু জোহর পরতেই হবে,এটা বিবেচনায় মনে মনে ভেবেছিলো জুমা তো ফরজ না) যদিও জানা ছিলো জুমা ফরজ, তারপরেও কেনো এই ভাবনা মাথায় চলে এলো জানে না.. তার পর জুমা ফজর কিনা এটা নিয়ে ইখতেলাফ আছে কিনা জানার জন্য গুগল করে, এবং কোরআনের সরাসরি দলিলে জানতে পারে তা ফরজ,এবং মেনে নেয়।
এর দরূন কি ইামনে সমা্স্যা হবে?
৯. কেও নিজের কথা বলছে যে আমার অমুক শহরে পড়াশোনার কথা ছিলো, এটা শুনে কেও যদি বলে "আল্লাহ তোমারে ঘাড়ো ধইরা এই জায়গায় আইনা ফালাইছেন" এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?
১০. নিজের স্বামী হঠাৎ পরিবর্তন হওয়ার প্রেক্ষিতে, হুজুরকে স্বামী হিসাবে চায় না এটা বুঝানোর জন্য যদি বলে, " সারাজীবন যেটা নিয়া নাক ছিটকাই কপালে ইতাই থাকে, কি নুংরা কপাল আমার " আরো বললো " আমার পর্দা করার ইচ্ছে নাই" এবং পরে যদি বলে " আমিও সোজা সাপ্টা কইরাম, আমি যদি তখন মাইন্না নিতে না পারি আমি আলাদা হই যাইমু"
প্রথম দুই কথায় কি স্ত্রীর ইমানে সমস্যা হবে? আর দ্বিতীয় কথায় কি বিবাহে সমস্যা হবে?