ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রশ্ন হল, মসজিদে জামাত পড়া ওয়াজিব? না বাড়িতে জামাত পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
(قوله في مسجد أو غيره) قال في القنية: واختلف العلماء في إقامتها في البيت والأصح أنها كإقامتها في المسجد إلا في الأفضلية. اهـ
ঘরে জামাত পড়া কি মসজিদে জামাত পড়ার মত? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মত হল,ঘরে জামাত পড়াও মসজিদে জামাত পড়ার মত।তবে সওয়াবে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।অর্থাৎ ঘরে জামাত পড়ার ধরুণ ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।তবে মসজিদের মত সওয়াব পাওয়া যাবে না।(আদ্দুর্রুল মমুখতার-১/৫৫৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1365
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অফিসে বা কর্মস্থলের বিল্ডিংয়ে কোনো এক জায়গাকে নির্দিষ্ট করে, সেখানে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা যাবে।হ্যা, ফযিল ও সওয়াবে অবশ্যই তারতম্য হবে। তবে নিয়মিত এমনটা করা উচিৎ হবে না।
(২)
মসজিদের জামাতের মত সওয়াব পাবেন না।
(৩)
যে জায়গা একবার মসজিদ হয়ে যাবে, সেটা কিয়ামত পর্যন্ত মসজিদ।আসমানের উপর এবং জমিনের নিচ সবকিছুই মসজিদের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।সুতরাং মসজিদকে ভিন্ন কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। হ্যা, বিশেষ জরুরতে বাস্তব প্রয়োজনের নিরিখে দ দারুল ইফতার ফাতাওয়ার ভিত্তিতে মসজিদকে অপসারণ করার রুখসত ফুকাহায়ে কেরামগণ দিয়ে থাকেন।
(৪)
মসজিদ পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে সাময়িক ভাবে অন্যস্থানে সালাত আদায় করা হয়। যেখানে নামায পড়া হয়, সেই জায়গাতে যদি স্থায়ী ঘর না বানানো হয়, এবং সে জায়গা যদি ওয়াকফকৃত না হয়, তাহলে সে স্থানকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।নতুবা সেই জায়গাও মসজিদ হিসেবে বিবেচিত হবে।সেই জায়গাকে হেফাজতে রাখতে হবে।
(৫)
যেই মসজিদের পরবর্তীতে কোনো জরুরত থাকবে না, সেই মসজিদের জায়গাকে দেয়াল দিয়ে হেফাজতে রাখতে হবে।
(৬)
আপনি একাকি নামায পড়বেন এবং সে একাকি নামায পড়বে।যদি সে আপনার সাথে বিনা আহবানে শরীক হয়, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।