আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. ১টা ছেলে ও মেয়ে হারাম সম্পর্কে থাকা অবস্থায় মোবাইলে অডিও কলের মাধ্যেমে বিবাহ করে ছেলের পাশে সাক্ষী হিসাবে ২ জন ছেলে ছিলো এবং মেয়ের পাশে সাক্ষী হিসাবে ১ বা ২ জন মেয়ে ছিলো.. ছেলে মেয়ের সাক্ষীকে কে তা জানতো কিন্তু কখন ও তাদের দেখা হয় নি আবার মেয়ে ছেলের সাক্ষী কে জানত কিন্তু কখন ও তাদের দেখা হয় নি.এখন হারাম সম্পর্ক নেই তাদের কি বিবাহ হয়ে গেছে??

২ . হারাম সম্পর্ক থাকা কালে ছেলে ও মেয়ে বিবাহ করে নিজেরা .. বিবাহের সময় পাশে ২ জন ছেলে বসে ছিলো  তাদেরকে ছেলে বা মেয়ে কেউ চেনে না . এখন ওই ২ জন ব্যাক্তি ছেলে ও মেয়ের ইজাব ও কবুল শুনেছে কি ছেলে বা মেয়ে কেউ ই  জানে না.. এখন হারাম সম্পর্ক নেই তাদের কি বিবাহ হয়ে গেছে??

৩.বিবাহের সময় সাক্ষী ইজাব কবুল সঠিক ভাবে শুনতে পেরেছে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ আছে . সাক্ষীদের এখন আর পাওয়া জাসে না.  এখন তাদের কি বিবাহ হবে??

৪.ছেলে মেয়ে যদি বিবাহের উদ্দেশ্য শুধু কবুল বলে কিন্তু মুখে কোনো ইজাব বলে নি তাইলে কি বিবাহ হবে??

৫.হারাম সম্পর্ক ছিল এখন নেই.থাকার সময় কোনো কথার কারণে বিবাহ হয়ে গেছে এমন সন্দেহ হয় . সেক্ষেত্রে কি ছেলে এই বলে আশ্বাস নিতে পারবে কি ওলি ছাড়া বিবাহ হয় না?


৬. হারাম সম্পর্ক থাকা অবস্হায় বিবাহ হয়েছিল কি জানা নেই যেহুতু অনেক দিনের আগের কথা  অনেক কথা ভালো করে মনে ও নেই তাই শিওর ভাবে বলতে পারছি না বিবাহ হয়েছে কিনা . ছেলে মেয়ের এখন কোনো যোগাযোগ নেই . এখন ছেলে না হয় খুঁজ নিল মেয়ের অন্য কোথাও বিবাহ হয়েছে কিনা যদি না হয় তাইলে মোখিক ভাবে তালাক দিয়ে দিলো .. কিন্তু মেয়েটা গোপনে কাউকে বিবাহ করেছে কিনা এইটা তো ছেলে জানে না এই ক্ষেত্রে  ছেলের করনীয় কি??
৭.হারাম সম্পর্ক ও অবস্থায় বিবাহ হয়েছিল কিনা সন্দেহ আছে এখন যদি সেই মেয়ের নাম ধরে একাকী বলি যে.. ক এর সাথে  আমার যদি বিবাহ হয়ে থাকে তাইলে আমি তাকে দিলাম ১ তালাক ২ তালাক ৩ তালাক ..তাইলে কি তালাক হবে??কিন্তু যদি ওই সময় মেয়ের হায়েয থাকে তাইলে কি তালাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুবাইল কলের মাধ্যমে বিবাহ সংগঠিত হবে না।
কেননা শরীয়তে যেসব ক্ষেত্রে লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষ্যকে শর্ত করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সাক্ষীগণের শোনা শর্ত।কিন্তু এখানে সাক্ষীদয়ের শ্রবণ পাওয়া যাচ্ছে না,বিধায় সর্বসম্মতিক্রমে বিবাহ সংগঠিত হবে না।আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ 
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
 দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2679

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) মুবাইল কলে বিবাহ শুদ্ধ হয়না । সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে অডিওকলে এভাবে বিয়ে হয় নাই।

(২)
যদি এক জায়গায় বসে এভাবে বিয়ে হয়, এবং পাশে দুইজন ছেলে থাকে, এবং নিজেরা এমন ভাবে কথা বলে যে, স্বাভাবিকভাবে পাশে থেকে কথা শুনা যাবে, তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে হয়ে যাবে।

(৩)
এমন সন্দেহ অমুলক। বরং ধরে নেয়া হবে, বিয়ে হয়েছে। হ্যা, না শুনার পক্ষে জোরালো কোনো দলীল প্রমাণ থাকলে, তখন ধরে নেয়া হবে, সাক্ষীরা ইজাব কবুল শুনেনি।

(৪)
ছেলে মেয়ে যদি বিবাহের উদ্দেশ্য শুধু কবুল বলে কিন্তু মুখে কোনো ইজাব না বলে , তাইলেও বিবাহ হয়ে যাবে।

(৫)
না, পারবে না।বরং ওলি ছাড়াও বিয়ে হয় না।

(৬) মেয়ে গোপনে বিয়ে করুক বা করুন, যদি মেয়ের সাথে কবুল হয়ে থাকে, তাহলে এখন ঐ ছেলে তালাক দিয়ে দিবে।

(৭)
জ্বী, তালাক হবে।মেয়ের হায়েয থাকলেও তালাক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,230 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...