আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আমরা কমবেশি প্রায় সবাই গুনাহ করে থাকি। এখন গুনাহ এবং গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো হচ্ছে:
১) তওবা করা আর ইস্তিগফারের মধ্যে কী পার্থক্য?
২) গুনাহ কি হঠাৎ করে ছাড়া টা স্বাভাবিক নাকি ধীরে ধীরে গুনাহ ত্যাগ করা স্বাভাবিক।  কারণ অভ্যাস পরিবর্তন হতে সময় লাগে। এক্ষেত্রে কী পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত?
৩) কবিরা গুনাহ করলে সেই গুনাহ হতে আল্লাহর কাছে কীভাবে মাফ চাইতে হবে?
৪) আমি কবিরা গুনাহ করার পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার আশায় আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ি, কিন্তু আমার মনে  অনুশোচনা বোধ কাজ করে না। কারণ আমি জানি যে আমি সেই গুনাহ তে আবার লিপ্ত হয়ে পড়ব। মাঝে মাঝে সেই গুনাহ থেকে ফিরে আসার জন্য মন শক্ত করলেও সবসময় মন শক্ত রাখতে পারিনা।
ক)আমি চিন্তা করছি যে ধীরে ধীরে সেই গুনাহ থেকে বের হয়ে আসব আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইব যাতে আমি এই গুনাহ থেকে বের হয়ে আসতে পারি। ইন শা আল্লাহ আমার এই বিশ্বাস আছে যে ধীরে ধীরে চেষ্টা করলে আমি পারব। আমার কী করা উচিত শায়েখ? এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত?
খ) আমি কিভাবে এই গুনাহ থেকে বের হতে পারব? আমি কি আল্লাহর উপর দৃড় বিশ্বাস রেখে গুনাহ ধীরে ধীরে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করব?❝ আমি যদি ধীরে ধীরে এই গুনাহ ত্যাগ করি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আমারে সাহায্য করবেন।❞ আমার এই মনোভাব টা কি সঠিক?

গ) এই গুনাহ ত্যাগ করতে হলে অনেক কষ্ট করতে হবে। আমি জানি। এখন যখন ই গুনাহ ত্যাগ করার জন্য খারাপ লাগবে তখন কী আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকব?  তখন আর কী কী করতে পারি শায়েখ?
৫) আমি ইমানি বিষয়ক ওয়াসওয়াসার ভুক্তভোগী ছিলাম। তাছাড়া আমার আরো অনেক বিষয়েই ওয়াসওয়াসা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ সময়ের সাথে সাথে সেই বিষয়গুলোর ওয়াসওয়াসা চলে গেছে। কিন্তু আমার পড়াশুনা বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসা শুরু হয়েছে। মানে যেই সময় যেটা নিয়ে টেনশনে থাকি সেই বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।  এখন শায়েখ আমি কি ওয়াসওয়াসা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে দুয়া করব নাকি দুয়ার পাশাপাশি মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ও নিব?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) তওবা করা আর ইস্তিগফারের মধ্যে সামান্য পার্থক্য  রয়েছে,
খাযাইনুল হাদীস পৃষ্টা নং ১৬১ এ বর্ণিত রয়েছে,
۔ اسی طرح استغفار اور توبہ ایک چیز نہیں ہے تو استغفار اور توبہ میں کیا فرق ہے؟ استغفار کہتے ہیں کہ جن گناہوں کی وجہ سے ہم اللہ سے دور ہو گئے، خدا کے قرب سے محروم ہو گئے اور ہماری حضوری دوری میں تبدیل ہوگئی،منزلِ قرب سے منزلِ غضب میں جا پڑے تو دوری کے غم اور عذاب کی وجہ سے ندامت کے ساتھ اپنی اس نالائقی سے معافی چاہنا یہ استغفار کا مفہوم ہے کہ آہ !گناہ کر کے ہم اپنے اللہ سے کیوں دور ہوئے، نہ ہم گناہ کرتے، نہ قرب سے محروم ہوتے ۔ معلوم ہوا کہ ماضی کے گناہوں پر ندامت سے معافی مانگنے کا نام استغفار ہے اور توبہ کیا ہے؟ توبہ کے معنیٰ رجوع الی اللہ کے ہیں۔ ملّا علی قاری رحمۃ اللہ علیہ نے مرقاۃ میں لکھا ہے جو مشکوٰۃ کی عربی زبان میں شرح ہے گیارہ جلدوں میں کہ تَوَّابُوْنَ کے معنیٰ رَجَّاعُوْنَ کے ہیں یعنی کَثِیْرُ الرُّجُوْعِ اِلَی اللہِ جس کا ترجمہ میرے قلب کو اللہ تعالیٰ نے عطا فرمایا کہ گناہ سے تم اللہ سے جتنی دور ہو گئے تھے پھر اپنے اللہ کے پاس واپس آ جاؤ، اپنے مرکز اور مستقر سے بھاگ گئے تھے پھر منزلِ جاناں پر آ جاؤ، منزلِ محبوب پر آ جاؤ، پھر منزلِ مولیٰ پر آجاؤ، پھر اپنے قلب کو اللہ کے قدموں میں ڈال دو۔
মর্মার্থ-
অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চাওয়ার নাম ইস্তেগফার।আর অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে না করার সিদ্ধান্তের নাম তাওবাহ।

(২) গুনাহকে হঠাৎ করে ছাড়ার চেষ্টা করাই উচিৎ।যদি সম্ভব না হয় বা কষ্টকর হয়,তাহলে ধীরে ধীরে গুনাহ ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে। 

(৩) কবিরা গুনাহ করলে সেই গুনাহের উপর লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে।

(৪)  অনুশোচনা বোধ কাজ না করলে তাওবাহ বা ইস্তেগফারের কোনো ফায়দা নেই। সেই তাওবাহ কবুল না হওয়াই স্বাভাবিক। 

(ক) ধীরে ধীরে নয়, বরং তাৎক্ষণিত সম্পূর্ণ রূপে গোনাহকে পরিত্যাগ করার চেষ্টা করা ওয়াজিব।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5806
(খ)
তাৎক্ষণিত সম্পূর্ণরূপে গোনাহকে পরিত্যাগ করার চেষ্টা করা ওয়াজিব।

(গ) জ্বী, যখন-ই গুনাহ ত্যাগ করার জন্য খারাপ লাগবে তখনই আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন। আর তাওবাহর নিয়তে ভবিষ্যতে এমনটা না করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন।

(৫) দুয়ার পাশাপাশি মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ও নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...