ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত তামীম দারী রাযি থেকে বর্ণিত
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: قُلْتُ لِسُهَيْلٍ: إِنَّ عَمْرًا حَدَّثَنَا عَنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِيكَ، قَالَ: وَرَجَوْتُ أَنْ يُسْقِطَ عَنِّي رَجُلًا، قَالَ: فَقَالَ: سَمِعْتُهُ مِنَ الَّذِي سَمِعَهُ مِنْهُ أَبِي كَانَ صَدِيقًا لَهُ بِالشَّامِ، ثُمَّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الدِّينُ النَّصِيحَةُ» قُلْنَا: لِمَنْ؟ قَالَ: «لِلَّهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,দ্বীনে ইসলাম হলো,নাসিহা(অন্যর কল্যাণ কামনা)এর নাম।জিজ্ঞেস করা হলো, নাসিহা কার জন্যে?উত্তরে বলা হল,আল্লাহর জন্য কিতাবের জন্য,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য এবং মুসলমান শাষক ও জনসাধারণের জন্য।(সহীহ মুসলিম-৫৫)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا يَسُمْ الْمُسْلِمُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ )
কোনো মুসলমান যেন অপর মুসলমানের দামের উপর দাম না করে।মূল্য না হাকায়।
সহীহ মুসলিম-১৫১৫
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,
قال النووي رحمه الله : " قَوْله ( لَا يَسِم الْمُسْلِم عَلَى سَوْم أَخِيهِ ) أَمَّا السَّوْم عَلَى سَوْم أَخِيهِ ، فَهُوَ أَنْ يَكُون قَدْ اِتَّفَقَ مَالِك السِّلْعَة وَالرَّاغِب فِيهَا عَلَى الْبَيْع وَلَمْ يَعْقِدَاهُ , فَيَقُول الْآخَر لِلْبَائِعِ : أَنَا أَشْتَرِيه وَهَذَا حَرَام بَعْد اِسْتِقْرَار الثَّمَن " انتهى من " شرح مسلم للنووي " .
মর্মার্থ-
ক্রেতা বিক্রেতা উভয় কোনো একটা নির্দিষ্ট মূল্যর উপর একমত হওয়ার পর, ভিন্নজন উক্ত লেনদেনে তৃতীয় পক্ষ্য হিসেবে শরীক হতে পারবে না।
আবুল ফযল ইরাকি রাহ বলেন,
" وَالسَّوْمُ عَلَى السَّوْمِ مُتَّفَقٌ عَلَى مَنْعِهِ : إذَا كَانَ بَعْدَ اسْتِقْرَارِ الثَّمَنِ ، وَرُكُونِ أَحَدِهِمَا إلَى الْآخَرِ، وَإِنَّمَا يَحْرُمُ ذَلِكَ إذَا حَصَلَ التَّرَاضِي صَرِيحًا "
মর্মার্থ- ক্রেতা বিক্রতার মধ্যকার মূল্য নির্ধারণ হওয়ার পর, ভিন্ন জনের পক্ষ্য থেকে দরদাম করা নিষিদ্ধ। (আত-তাকরীব-৬/৭০)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো একজন কাউকে ভাড়ায় ঘর প্রদান করার পর,উক্ত ভাড়াটিকে কম মূল্যে নিজের ঘর ভাড়ায় দেয়া কখনো জায়েয হবে না।
তবে যদি কেউ যুলুম নির্যাতন পূর্বক অনেক বেশী মূল্যে কোনো ঘরকে ভাড়ায় দিয়ে দেয়,বা প্রথমোক্ত ব্যক্তির সাথে কৃত চুক্তি শেষ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি পূর্ব থেকে কম দামে ঘর ভাড়া দিয়ে আসছে,তাহলে এমতাবস্থায় কম মূল্যে ঘর ভাড়া দেয়া নাজায়েয হবে না।
সর্বোপরি অন্যকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে হলে,সেটা অবশ্যই নাজায়েয ও হারাম বলে বিবেচিত হবে।