ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
والوطن الأصلي هو الذي ولد فيه" الإنسان "أو تزوج" فيه "أو لم يتزوج" ولم يولد فيه "و" لكن "قصد التعيش لا الارتحال عنه ووطن الإقامة موضع" صالح لها على ما قدمناه وقد "نوى الإقامة فيه نصف شهر فما فوقه"
ওয়াতানে আসলীঃ ঐ স্থান যেখানে মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে,অথবা বিয়ে করেছে(সাথে বসবাসেরও নিয়ত করেছে)অথবা জন্মগ্রহণ ও করেনি এবং বিয়ে ও করেনি তবে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের দৃঢ়তর ইচ্ছা পোষণ করেছে,সেখান থেকে সে অন্য কোথা যাবে না।এমন স্থানকে ওয়াতানে আসলী বলে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যারা বাসা থেকে দূরে থাকে (ছেলে হোক বা মেয়ে) পড়াশুনা বা অন্য কিছুর জন্য,তবে বাসায় মাঝে মাঝে যাওয়া হয়। মাসে একবার বা বছরে দু তিনবার বাসায় যেয়ে পনেরো দিনের কম থাকা হয় ।এভাবে বাসায় গেলেও ঐ ব্যক্তি মুকিম থাকবে।কেননা
(২)
পাঞ্জেগানা বা জুম্মা মসজিদ, যে কোনো মসজিদে আপনারা জামাত শেষ হওয়ার পরবর্তী সময়ে একাকি নামায পড়তে পারবেন। ইমাম মুওয়াজ্জিন নির্দিষ্ট এমন কোনো পাঞ্জেগানা মসজিদে দ্বিতীয় জামাত পড়া যাবে না বরং তখন একাকি-ই নামায পড়তে হবে। হ্যা, যে মসজিদে ইমাম-মুওয়াজ্জিন নির্দিষ্ট নয়, এমন মসজিদে দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাত পড়া যাবে।
জনসাধারণের জন্য মহল্লার পাঞ্জেগানা মসজিদই সওয়াবের দিক দিয়ে জামে মসজিদের সমতূল্য।তবে যদি জামে মসজিদের ইমাম আলেম হন,আর পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম আলেম না হন, তাহলে এমতাবস্থায় সর্বদা জামে মসজিদে নামায পড়াই উত্তম।জুম্মায় এবং অন্যান্য নামাযেও।
(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৩/১০১)
(৩) কর্মব্যস্ততা বেশি থাকলেও দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাতের কোনো সুযোগ নাই।
(৪)নিয়মিত মাগরিবের নামায একাকি পড়লে যদিও নামায আদায় হবে, তবে জামাত তরকের গোনাহ হবে।হয়তো মসজিদে বা নিজ বাসা বা কর্মস্থলে জামাতে নামায পড়তে হবে।