ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাম হাসক্বাফী হানাফি রাহ লিখেন,
(ويخافت) المنفرد (حتما) أي وجوبا (إن قضى) الجهرية في وقت المخافتة، كأن صلى العشاء بعد طلوع الشمس، كذا ذكره المصنف بعد عد الواجبات.
মুনফারিদ যদি জাহরি নামাযকে সির্রি সময়ে কাযা করে তাহলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে নিম্নস্বরে পড়বে।যেমন কেউ এশার নামাযকে সূর্যোদয়ের পর কা'যা করল,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হলো যে,সে এশার নামাযকে নিম্নস্বরে আদায় করবে।(ফাতাওয়ায়ে শামী-শামেলা-১/৫৩২)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যাখায় লিখেন,
مطلب في الكلام على الجهر والمخافتة
(قوله ويخافت المنفرد إلخ) أما الإمام فقد مر أنه يجهر أداء وقضاء (قوله في وقت المخافتة) قيد به لأنه إن قضى في وقت الجهر خير كما لا يخفى ح (قوله بعد طلوع الشمس) لأن ما قبلها وقت جهر فيخير فيه، لكن في بعض نسخ الهداية بعد طلوع الفجر (قوله كما في الهداية) قال فيها لأن الجهر مختص، إما بالجماعة حتما أو بالوقت في حق المنفرد على وجه التخيير ولم يوجد أحدهما
ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1725
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কাজা নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নামাজ পড়ার সময়, যে যে জায়গায় উচ্চাস্বরে পড়তে হয়, ঐসব জায়গায় অবশ্যই নীরবে পড়তেই হবে। নিরবে পড়া ওয়াজিব।
(২) অনুমান করে অতীতের সমস্ত নামাযকে কাযা করতে হবে।উমুরী কা’যার নামায সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968
(৩)একা একা ফরয নামাজ পড়লে উচ্ছস্বরের নামায সমূহে মুসাল্লির এখতিয়ার থাকবে, চাইলে উচ্ছস্বরে আবার চাইলে নিম্নস্বরেও পড়া যাবে।