ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযে কতটুকু সতর ঢেকে রাখা জরুরী সে সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ستر العورة شرط لصحة الصلاة إذا قدر عليه. كذا في محيط السرخسي.
العورة للرجل من تحت السرة حتى تجاوز ركبتيه فسرته ليست بعورة عند علمائنا الثلاثة وركبته عورة عند علمائنا جميعا هكذا في المحيط.
بدن الحرة عورة إلا وجهها وكفيها وقدميها. كذا في المتون وشعر المرأة ما على رأسها عورة وأما المسترسل ففيه روايتان الأصح أنه عورة. كذا في الخلاصة وهو الصحيح وبه أخذ الفقيه أبو الليث وعليه الفتوى. كذا في معراج الدراية
সতরকে ঢেকে রাখার সামর্থ্য থাকাবস্থায় নামাযে সরতকে ঢেকে রাখা নামায বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত।
(পুরুষের সতরঃ)
নাভীর নিচ থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত।আমাদের বিশিষ্ট তিন উলামা(ইমাম আবু-হানিফা রাহ,ইমাম আবু ইউসুফ রাহ, ইমাম মুহাম্মাদ রাহ,) ত্রয়ের মতে নাভী সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।তবে সর্বসম্মতিক্রমে হাটু সতরের অন্তর্ভুক্ত।(মুহিত)
(মহিলার সতরঃ)
মুখ,কব্জি পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা ব্যতীত আযাদ মহিলার সমস্ত অঙ্গই সতরের অন্তর্ভুক্ত।এবং মাথার চুলও সতরের অন্তর্ভুক্ত।
ছেড়ে দেওয়া চুলগুলো কি সতরের অন্তর্ভুক্ত? এ সম্পর্কে দু,টি মত পাওয়া যায়।বিশুদ্ধ মতানুসারে ইহাও সতরের অন্তর্ভুক্ত। এবং এটাই ফকিহ আবুল লেইস রাহ এর সিদ্ধান্ত। এটার উপরই ফাতাওয়া। (মে'রাজুদ-দেরায়া) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৮)--এভাবে বর্ণিত রয়েছে,আল-মুগনি-৩/৭,আল-ইস্তেযকার-২/১৯৭,ফাতাওয়ায়ে ইসলামিয়্যাহ-১/৪২৭
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/975
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু হিজাব বা অতিরিক্ত কাপড় দ্বারা শরীর ঢেকে থাকে,তাই পায়জামা কোমরের নিচে বা কামিজের নিচে নেমে গেলেও নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা যে কোনো কাপড় দ্বারা সতর তো ঢাকাই রয়েছে।
(২)
(ক)
এমন কাপড় যার দ্বারা শরীরের নিচের অংশ দেখা যায়, তাহলে এর দ্বারা সতর ঢাকা হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে না। তাই এমন কাপড় পরিধান করলে নামায হবে না। {আপকি মাসায়িল আওর উনকা হল-৩/৩২০}
اذا كان الثوب رقيقا بحيث يصف ما تحته أى لون البشرة لا يحصل به سترة العورة (حلبى كبير-214
(খ)
ঐ পাজামা যেগুলো পড়লে এমনিতেই শরীরের ভিতরের অংশ দেখা যায় না কিন্তু সূর্যের আলো বা লাইট খুব কাছে থাকলে, এবং আলো পাজমার উপর পড়লে, তখনরশরীর অনেক টাই বুঝা যায়।এ পাজামা পরিধান পূর্বক সূর্যের আলোতে বা লাইটের সামনে এমনভাবে নামায পড়লে যে, আলো পায়জামার উপর পরে, এবং শরীরের ভিতরের দৃশ্য দেখা যায়, তাহলে নামায হবে না।নতুবা নামায হবে।
(৩)
যদি সন্দেহ হয় যে, সাদা স্রাব টাইপ কিছু পাজামাতে রয়েছে, এবং পরবর্তীতে চেক করে কোনো চিহ্ন যদি পাজামাতে না পাওয়া যায়, তাহলে পাজামাকে পাক ধরে নেয়া হবে। এবং ঐ পাজামা দিয়ে নামাজ পড়া যাবে।