আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
একটা ছেলে আর একজন মেয়ের প্রায় ৫ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তারা একবার ইজাব ও কবুল করেছে সাক্ষী ছিল না এখন তাদের সম্পর্কটা কি হালাল নাকি হারাম হবে..? আর তাদের বিয়ের ব্যাপারে এখন কি হুকুম হবে..?
নামাজের লুঙ্গি পড়ে মেয়েরা নামাজ আদায় করতে পারবে..? অনেকে বলে লজ্জাস্হান জীবিত তাই পারবে না এটা কতটুকু সহীহ..?
নামাজ পড়ার সময় থুতনি ঢেকে নামাজ আদায় করতে হবে..?
আরবি লিখা থাকলে সেই পেইজ ভাজ করা যাবে..? ভাজ করলে কি গুনাহ হবে..?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারা যখন ইজাব কবুল করেছে,সেই সময়ে যেহেতু সাক্ষী ছিলোনা,সুতরাং তাদের মাঝে বিবাহ হয়নি।

তাদের সম্পর্ক হারাম,স্পষ্ট যেনা।

তারা এখন চাইলে নতুন করে শরয়ী শর্তাবলী অনুসারে বিবাহ করতে পারবে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ

আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামাজ কবুল করেন না। (সুনান আবু দাউদ ৬৪১)

ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦ

মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া মহিলাদের সারা শরীরই সতর। (রদ্দুল মুহতার ১/৪০৪)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
লুঙ্গি পড়ে মেয়েরা নামাজ পড়লে এক্ষেত্রে যদি সতরের কোনো অংশ দৃশ্যমান হয়,সেক্ষেত্রে তাহা সেই অঙ্গের একচতুর্থাংশ হলে নামাজ হবেনা।

(০৩)
থুতনি ঢাকতে হবেনা।
তবে থুতনির নিচ হতে ঢাকতে হবে।

“মুখমণ্ডের পরিসীমা হল, মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে নিয়ে চোয়ালের হাড়ের শেষ পর্যন্ত এবং দু পাশে দু কান পর্যন্ত।”

তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে, থুতনি বা চোয়ালের হাড়ের শেষ পযর্ন্ত চেহারার অন্তর্ভুক্ত। (তার নিচের অংশ চেহারার অন্তর্ভুক্ত নয়।)

তাই নিজে নিজের থুতনিতে হাত দেয়ার পর চোয়ালের যে হাড়ের সন্ধান পাওয়া,সে পর্যন্ত নামাজে খোলা রাখা যাবে।
এই হাড়ের নিচে গোশত যেখান থেকে শুরু হয়েছে,সেখান থেকে ঢাকতে হবে।

(০৪)
আরবি লিখা থাকলে সেই পেইজ ভাজ করা যাবে। ভাজ করলে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...