আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আমি ঢাকার বাসাবো এলাকাতে থাকি আর চাকরি করি চাঁদপুরে। বাসাবো থেকে আমার চাকরির স্থল চিন্তা করি তাহলে দূরত্ব হয় প্রায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু যদি লঞ্চের দূরত্ব চিন্তা করি তাহলে হয় ৬৮ কিলোমিটার। আমি ৮০ কিলোমিটার ধরে মুসাফির হিসেবে নামাজ আদায় করি। এখন আমি যখন সদরঘাট পৌঁছি যদি লঞ্চ ঘাটে থাকে সেক্ষেত্রে যদি আমি কোন নামাজ পড়ি সেক্ষেত্রে আমি পূর্ণ নামাজ পড়ি যেহেতু আমি ঢাকা ছাড়িনি। চাঁদপুর পৌঁছানোর পূর্বে যখন লঞ্চ চাঁদপুরের এলাকায় ঢুকে যায় আমি লঞ্চ চলমান অবস্থায় থাকলেও  সম্পূর্ণ নামাজ পড়ি। কিন্তু লঞ্চে যেসব মানুষ থাকে একেক ভাবে নামাজ পড়ে এই জন্য আমি কনফিউজড হয়ে যাই। আমি যদি লঞ্চের দূরত্ব চিন্তা করি তাহলে তো আমি আসলে মুসাফিরি হই না। আবার এলাকা টু এলাকা চিন্তা করি তাহলে তো ৮০ কিলোমিটার বেশি হয় তাহলে আমি মুসাফির হই। প্রশ্ন হচ্ছে আসলে আমি কোনটা কাউন্ট করব লঞ্চের দূরত্ব নাকি এলাকা টু এলাকা আর যদি এলাকার হিসাব করি তাহলে কখন থেকে আমি মুসাফির হওয়া শুরু করব আবার পৌঁছানোর পূর্বে আমি কোন জায়গায় পৌঁছানোর পূর্বে আমি মুসাফির হিসেবে নিজেকে মনে করব।
২. কেউ যদি মুসাফির থাকা অবস্থায় ইমামতি করে কিন্তু সে পূর্ণ নামাজ পড়ে তার পিছনে যদি আমি নামাজ পড়ি আমার নামাজ কি আদায় হবে

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আপনি গুগল ম্যাপ দেখে নিশ্চিত হোন যে বাসাবো থেকে আপনার চাকরির স্থল চাঁদপুরের দূরত্ব কত?

যদি আসলেই ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হয়,আর সেখানে গিয়ে যদি আপনি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করেন ,সেক্ষেত্রে আপনি সদরঘাট লঞ্চ ঘাটে ও লঞ্চে কসর আদায় করবেন।
চাঁদপুরে গিয়েও কসর আদায় করবেন।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ : غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَشَهِدْتُ مَعَهُ الْفَتْحَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً لَا يُصَلِّي إِلَا رَكْعَتَيْنِ وَيَقُولُ " يَا أَهْلَ الْبَلَدِ! صَلُّوا أَرْبَعًا فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ "

 ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং মাক্কাহ বিজয়ের দিনেও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি মাক্কায় আঠার দিন অবস্থান করেন। এ সময় তিনি (ফারয) সলাত দু’ রাক্‘আত আদায় করেন এবং বলেনঃ হে শহরবাসী! তোমরা চার রাক‘আত সলাত আদায় করবে। কেননা আমরা মুসাফির সম্প্রদায় (তাই চার রাক‘আতের স্থলে দু’ রাকআত আদায় করেছি)।
(আবু দাউদ ১২২৯
তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ সলাত ক্বাসর করা, হাঃ ৫৪৫), আহমাদ (৪/৪৩০), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১৬৪৩)
,
মুয়াত্তা মালিক গ্রন্থেও একই রকম হাদীস এসেছেঃ

وروى مالك في " الموطأ " (2/206) عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ : ( كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ : يَا أَهْلَ مَكَّةَ ! أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ )
.
আলোচ্য হাদীসে দলীল হলো যে, মুসাফির ব্যক্তি যখন মুক্বীমদের ইমাম হবে এবং চার রাক্‘আত বিশিষ্ট সলাতে দু’ রাক্‘আত পড়ে সালাম ফিরবে তখন মুক্বীমরা মাক্কাবাসীদের ন্যায় সলাত পূর্ণ করবে এবং এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে। আর সালাম ফেরার পর মুক্তাদীদের উদ্দেশে।
‘‘তোমরা সলাত পূর্ণ করো’’ এমন কথা বলা মুস্তাহাব। ইবনু ‘আবদুল বার (রহঃ) বলেন যে, মুসাফির যখন মুক্বীমদের সাথে সলাত আদায় করবে এবং দু’ রাক্‘আত শেষে সালাম ফিরবে তখন মুক্তাদীগণ সলাত পূর্ণ করবে, এ ব্যাপারে কোন ইখতিলাফ নেই।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কেউ যদি মুসাফির থাকা অবস্থায় ইমামতি করে কিন্তু সে জোহর,আছর,বা ঈশার নামাজে পূর্ণ চার রাকাত নামাজ পড়ে,সেক্ষেত্রে তার পিছনে যদি আপনি মুকিম হয়ে নামাজ পড়েন, আপনার নামাজ আদায় হবেনা।
কোনো মুকিম ব্যাক্তির নামাজই আদায় হবেনা।

فتاویٰ شامی:
قوله ( لم يصر مقيما ) فلو أتم المقيمون صلاتهم معه فسدت لأنه اقتداء المفترض بالمتنفل ظهيرية أي إذا قصدوا متابعته أما لو نووا مفارقته ووافقوه صورة فلا فساد .(شامی،باب صلاۃ المسافر2/130،ط:دارالفکر)
সারমর্মঃ-
মুসাফির ইমাম পূর্ণ নামাজ আদায় করলে এক্ষেত্রে যদি মুক্তাদীরাও তার সাথে নামাজ পূর্ণ করে,সেক্ষেত্রে মুক্তাদীদের নামাক ফাসেদ হয়ে যাবে।
কেননা এটি নফল আদায় কারীর পিছনে ফরজ আদায় কারীর ইক্তেদা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ২/১৩০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 253 views
...