জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি গুগল ম্যাপ দেখে নিশ্চিত হোন যে বাসাবো থেকে আপনার চাকরির স্থল চাঁদপুরের দূরত্ব কত?
যদি আসলেই ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হয়,আর সেখানে গিয়ে যদি আপনি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করেন ,সেক্ষেত্রে আপনি সদরঘাট লঞ্চ ঘাটে ও লঞ্চে কসর আদায় করবেন।
চাঁদপুরে গিয়েও কসর আদায় করবেন।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ : غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَشَهِدْتُ مَعَهُ الْفَتْحَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً لَا يُصَلِّي إِلَا رَكْعَتَيْنِ وَيَقُولُ " يَا أَهْلَ الْبَلَدِ! صَلُّوا أَرْبَعًا فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ "
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং মাক্কাহ বিজয়ের দিনেও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি মাক্কায় আঠার দিন অবস্থান করেন। এ সময় তিনি (ফারয) সলাত দু’ রাক্‘আত আদায় করেন এবং বলেনঃ হে শহরবাসী! তোমরা চার রাক‘আত সলাত আদায় করবে। কেননা আমরা মুসাফির সম্প্রদায় (তাই চার রাক‘আতের স্থলে দু’ রাকআত আদায় করেছি)।
(আবু দাউদ ১২২৯
তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ সলাত ক্বাসর করা, হাঃ ৫৪৫), আহমাদ (৪/৪৩০), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১৬৪৩)
,
মুয়াত্তা মালিক গ্রন্থেও একই রকম হাদীস এসেছেঃ
وروى مالك في " الموطأ " (2/206) عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ : ( كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ : يَا أَهْلَ مَكَّةَ ! أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ )
.
আলোচ্য হাদীসে দলীল হলো যে, মুসাফির ব্যক্তি যখন মুক্বীমদের ইমাম হবে এবং চার রাক্‘আত বিশিষ্ট সলাতে দু’ রাক্‘আত পড়ে সালাম ফিরবে তখন মুক্বীমরা মাক্কাবাসীদের ন্যায় সলাত পূর্ণ করবে এবং এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে। আর সালাম ফেরার পর মুক্তাদীদের উদ্দেশে।
‘‘তোমরা সলাত পূর্ণ করো’’ এমন কথা বলা মুস্তাহাব। ইবনু ‘আবদুল বার (রহঃ) বলেন যে, মুসাফির যখন মুক্বীমদের সাথে সলাত আদায় করবে এবং দু’ রাক্‘আত শেষে সালাম ফিরবে তখন মুক্তাদীগণ সলাত পূর্ণ করবে, এ ব্যাপারে কোন ইখতিলাফ নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কেউ যদি মুসাফির থাকা অবস্থায় ইমামতি করে কিন্তু সে জোহর,আছর,বা ঈশার নামাজে পূর্ণ চার রাকাত নামাজ পড়ে,সেক্ষেত্রে তার পিছনে যদি আপনি মুকিম হয়ে নামাজ পড়েন, আপনার নামাজ আদায় হবেনা।
কোনো মুকিম ব্যাক্তির নামাজই আদায় হবেনা।
فتاویٰ شامی:
قوله ( لم يصر مقيما ) فلو أتم المقيمون صلاتهم معه فسدت لأنه اقتداء المفترض بالمتنفل ظهيرية أي إذا قصدوا متابعته أما لو نووا مفارقته ووافقوه صورة فلا فساد .(شامی،باب صلاۃ المسافر2/130،ط:دارالفکر)
সারমর্মঃ-
মুসাফির ইমাম পূর্ণ নামাজ আদায় করলে এক্ষেত্রে যদি মুক্তাদীরাও তার সাথে নামাজ পূর্ণ করে,সেক্ষেত্রে মুক্তাদীদের নামাক ফাসেদ হয়ে যাবে।
কেননা এটি নফল আদায় কারীর পিছনে ফরজ আদায় কারীর ইক্তেদা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ২/১৩০)